অর্না খান
“আপনার কেসটা খুব জটিল,গায়ের ঘাম ছুটে যাচ্ছে, বুঝলেন জামিল সাহেব! এমন কেস আর চোখে পড়েছে বলে মনে পড়ে না আমার।”
চেয়ার ছেড়ে মাটিতে জামিলের পাশে বসতে বসতে ঠোঁট বাকিয়ে কথাটি বলেন পুলিশ অফিসার রায়হান সাহেব।রায়হান সাহেব মাটিতে বসতে গিয়ে বেশ বুঝে যায় তারও বয়সটা একটু বেড়েছে,পেটের ভুড়িটাও একটু আকটু উঁকি দেয়া শুরু করেছে সবে।শরীরের ভর সামলে মাটিতে বসতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে।গা থেকে ঘাম ছড়িয়ে গেছে একেবারে।
একজন পুলিশ অফিসার চেয়ার ছেড়ে একজন খুনির পাশে পা ছড়িয়ে বসেছে,এতো বড় এতো আশ্চর্য ঘটনার পড়েও জামিলের কোনো ভাবান্তর নেই।মাথা নিচু করে চুপ করে বসে আছে।তার কোনো ভাবান্তর না দেখে রায়হান সাহেব নিজেই বলেন,
“এক কাপ চায়ের অর্ডার করি কি বলুন?”
“সাথে একটা সিগারেটও।”
মাথা নিচু করে ভাবলেশহীন ভাবে কথা বলে জামিল।
রায়হান সাহেব একজন কনস্টেবল ডেকে দু’কাপ চা আর দুটো গোল্ডলিফ সিগারেট আনিয়ে নেয়।রায়হান সাহেব একবার চায়ে চুমুক দিয়ে আবার সিগারেটে টান দিচ্ছে।তার নিজেকে এখন রাজাদের মতো মনে হচ্ছে।চায়ের কাপে শব্দ করে লম্বা চুমুক দিয়ে রায়হান সাহেব জামিলের দিকে তাকায়।
“চা,ভালো?”
ছোট ছোট চুমুক দিতে দিতে জামিল অল্প শব্দ করে,
“হুম।”
চেহারায় কিছুটা গাম্ভীর্য এনে রায়হান সাহেব তাকায় জামিলের দিকে,
“মেয়েটা তো আপনারই,তাই না?”
“হুম।”
“নিজের মেয়েকে নিজেই মেরে দিলেন?”
“হুম।”
জামিলের কথা বলার ধরণ দেখে এবার রায়হান সাহেবের রাগ হয়।বয়স যে বেড়েছে,তা তিনি বুঝতে পারেন।বয়স বাড়লে লোকে অল্পতে রাগে।রায়হান সাহেব বেশ কিছুক্ষণ জামিলের মুখের দিকে তাকিয়ে থেকে বোঝার চেষ্টা করে জামিলের ভেতরটা,ধরতে পারে না।এর আগেও সে খুনের আসামির সাথে বসেছে,কেস সলভ করেছে।কিন্তু জামিলের ব্যাপারটা তার চুল পাকিয়ে ছাড়বে বলে ধারণা তার।
জামিলের নিজ দোষ স্বীকারে আদালত তাকে মৃত্যুদন্ড শাস্তি দিয়েছেন।কাল সকালে ফাঁসি।কিন্তু রায়হান সাহেবের মনের খুতখুত দূর হচ্ছে না।সে বুঝতে পারছে,কিছু রহস্য ঢাকা পড়ে আছে।এর আগেও অনেক কেস দেখেছে।কিন্তু সব আসামীর মধ্যে একটা কমন জিনিস তিনি লক্ষ্য করেছেন,প্রত্যেকটা ফাঁসির আসামিই বাঁচার জন্য শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত চেষ্টা করেন।কিন্তু জামিল পুরোটাই আলাদা।তার কাল ফাঁসি,এ নিয়ে তার কোনো ভাবান্তর নেই।ভাবলেশহীন একটা মানুষ।যেন মেয়েকে খুন করে তিনি তৃপ্ত।এটাই ঘটার ছিল,তাই ঘটেছে।জামিলের কেসটা নিয়ে অনেক ঘেটেও রায়হান সাহেব কিছুই বের করতে পারছেন না।শেষ সুযোগ আজ।আজ রহস্য বের করতেই হবে।এর আগেও বেশ কয়েকবার তিনি বসেছেন জামিলের সাথে কিন্তু জামিল কোনো কথারই উত্তর দিতে রাজি নয়।আজ আর হাল ছাড়বে না বলেই রায়হান মনে মনে ঠিক করে এসেছেন।
“জামিল ভাই,সজাগ আছেন?”
হালকা একটা হাসি হাসলো জামিল।হাসির রেশ বেশ কিছুসময় থাকলো।হাসির রেশ কাটিয়ে জামিল বললো,
“আসামিকে আপনারা ভাই বলে ডাকেন?”
“ভাই,আপনিতো শুধু আজকের রাত টা আছেন।কাল তো আর আপনাকে পাবো না।একরাতের জন্য আপনার মাথা থেকে আসামির নাম কাটা হলো।”
শব্দ করে হাসলো রায়হান সাহেব।জামিলের হাসি পেলো না।রায়হান আবার বললো,
” ভাই আপনার কী মনে ভয় টয় কিছু নাই?কালতো আপনার ফাঁসি।জানেন নিশ্চয়!”
“আপনার কী ধারণা যে তার মেয়েকে খুন করতে পারে তার কি নিজের মরার ভয় বলে কিছু থাকে?”
জামিলের কথায় পরিবেশটা বেশ গম্ভীর হয়ে গেল।পরিবেশ স্বাভাবিক করা দরকার।রায়হান সাহেব কী বলবেন বুঝে উঠতে পারছে না।কী বলা উচিত ঠিক ধরতে পারছে না।জামিল নিজে থেকেই মুচকি হেসে বললো,
“আমার ভেতরের কাহিনীটা জানার জন্য শুরু থেকেই বেশ পরিকল্পনা করছেন খেয়াল করলাম।”
ধরা খেয়ে রায়হান সাহেব কিছুটা লজ্জাই পেলেন।তিনি হেসে পরিবেশটাকে সহজ করতে চাইলেন।
“ভাই,আপনার কেসটাই এমন।যে কেউ জানতে চাইবে।”
“গল্পতো নিশ্চয়ই আছে।আপনারা রোজই তো কত কত খারাপ মানুষ দেখতে পান।কিন্তু খারাপের পেছনের নষ্ট গল্পটা কেউ জানতে চান না।অবশ্য এটা আপনাদের দায়িত্বের মধ্যেও পড়ে না।”
” গল্প জানায় ক’জন?”
“যে মানুষটা আরেক মানুষরে খুন করে,স্যার মনে রাখবেন সে নিজেও মানুষ।দেয়ালে পিঠ ঠেকলে ছুঁড়ি মারতে সবাই বাধ্য।”
রায়হান সাহেব কথার মধ্যেও রহস্য খুঁজে বের করতে চাইলেন।তিনি প্রশ্ন করলেন,
“আপনার স্ত্রী নেই?”
“নাহ,মিথির জন্মের দিনই মারা গেছেন।মাঝে আমাকে এই গোটা জগৎ সংসার সামলানোর দায়িত্ব দিয়ে গেল।”
“মিথি শারিরীক এবং মানসিক প্রতিবন্ধী ছিল?”
“হুম।”
জামিল সাহেব আর কথা বললেন না।রায়হান সাহেবের ভেতর ভেতর একটু অসহ্য লাগতে শুরু করেছে।পুরো গল্পটা জানা দরকার।হঠাৎই তার ফোন বেজে উঠলো।
“হ্যালো বাবা!”
“হুমরে মা,বল।”
“আজ বাসায় আসতে দেরি করছো যে!”
“মা আমি আজ আসবো না।তোরা খেয়ে ঘুমিয়ে পর।কেস পরে গেছে,রেগে থাকিস না।তোর ঘুম ভাঙার আগে বাসায় ফিরবো।”
“আচ্ছা।”
রায়হান সাহেব ফোনটা পাশে রাখলেন।জামিল গাল বাঁকিয়ে হেসে বললো,
“মেয়ে নাকি?”
“হ্যা,একটাই মেয়ে আমার।”
“স্যার,আমার মেয়েটাও এমন আমি পাগল ছিল।সারাদিন পর বাসায় ফিরলে আব্বা আব্বা করে চেল্লানো শুরু করতো।কথা বলার মধ্য ওই আব্বাই বলতে পারতো।ওর মুখটা দেখলে আর ক্লান্তি থাকতো না।”
জামিল চায়ের কাপটা মাটিতে গড়াতে গড়াতে বললো,
“বাপ হয়ে মেয়েরে ইচ্ছা করে খুন করিনি স্যার।মেয়েটারে মারার আগে আমি নিজেকে মেরেছি।প্রতিটা মুহূর্তে নিজেকে হত্যা করেছি।আমার মেয়েটারে আমি মুক্তি দিছি।এই সমাজে পবিত্র জিনিসের দাম নাই।সমাজ খালি পারে কালি ছিটাতে।”
একদলা থুথু ছেটায় সে সমাজের নামে।
“ও এখন ভালো আছে,আমি জানি।ও নিঃষ্পাপ।আল্লাহ ওরে শান্তিতেই রাখছে।দুনিয়া নামক জাহান্নাম থেকে আমি ওরে মুক্তি দিছি।”
“কিসের মুক্তি?”
“স্যার আমার গল্পে খালি কষ্ট।আপনি বাসায় যান। শুনে লাভ কী?সবাই খালি গল্প শুনতে চায়।কিন্তু সেই গল্পের গভীরতা কেউ অনুভব করতে পারে না।”
রায়হান কিছুটা হেসে বললো,”কষ্ট আর সুখ বড় আজব জিনিস।নিজেরটা নিজেরই অনুভব করতে হয়।আপনি বলেন,নিজের মরার আগে আপনার কাহিনীটা শুনিয়ে যান।এটা আমার অনুরোধ।”
” আমার মেয়েটা কতটা পবিত্র তা তার মুখ দেখলেই বোঝা যেত।কিন্তু ওই জানোয়ারগুলা পবিত্রতায় কিনা কালি ছিটালো? ওদের কেউ কিছু করতে পারবে না,ওরা আজীবন এমন করবে।তবুও কেউ ওদের কিছু করবে না।”
“কারা কি করেছে?”
“আমি একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতাম।যা আয় হতো,বাপ-বেটির ভালোই চলতো।সেদিনও আমি কাজে গেছিলাম।কিন্তু আমার দেরিতে বাসায় ফেরা যে আমার মেয়েটার জীবন শেষ করে দেবে এই কথা জানলে আমি দেরি করতাম না।আসলে আমার মেয়েটা প্রতিবন্ধী হলেও,শরীরের গঠনতো তার চুপ করে থাকেনি।মেয়ে মানেই কি মাংসপিন্ড নাকি?”
জামিলের হাত পা শক্ত হয়ে আসে।চোখ থেকে জল গড়িয়ে পরে।জামিল দাঁতে দাঁত খিঁচিয়ে বলে,
“বাসায় ফিরে মেয়ের রক্তাক্ত শরীর দেখে,আমার উপর যে কি গেছে তা কেবল আমি জানি,আমি।”
“ধর্ষণ?”
“হুম আমি জানি কারা এই কাজ করছে।পুলিশ কেস নেয় নাই,হাসপাতালের রিপোর্ট চায়।হাসপাতালের ডাক্তার আমার মিথিরে চিকিৎসা করাইতে চায় নাই,পুলিসের অনুমতি চায়।”এই সমাজে কোনো ধর্ষিতার জায়গা নাই।জায়গা আছে সব জানোয়ার গুলার।”
“কেস করতে পারেন নি?
“কোনো প্রমান ছিল না বলে কেস করেও কোনো কাজ হয়নি।অথচ,সবাই জানতো কারা এই কাজ করছে!”
জামিল হাউমাউ করে কান্না শুরু করে দিলো।রায়হান সাহেবের চোখ থেকে গড়িয়ে পানি পড়লো।তিনিও চুপ করে রইলেন।জামিল নিজে থেকেই বললো,
“আমি আমার মেয়েটাকে বাসায় নিয়ে আসি।ঘরোয়া একটু আকটু চিকিৎসা চালিয়ে অল্প অল্প করে সারিয়ে তোলার চেষ্টা চালাই।আমার মেয়েটা কষ্টে শুধু আব্বা আব্বা করে ডাকতো।খালি কাঁদতো,আমি বাবা হয়ে মেয়ের সামনে যেতে লজ্জা পেতাম।মেয়েটা আমার কাছে আসতো না।একজন বাবার জন্য এর থেকে কষ্টের আর কি হতে পারে?”
“তারপর।”
“সমাজ আমার মেয়েরে মারছে,আমারে মারছে।দিনের পর দিন আমার বাসার সামনে মানুষ ভীর করে থাকতো,মজা নিতো।ভিডিও করতো।পাড়ার লোকেরা আমার প্রতিবন্ধী মেয়েটার নামেও বাজে কথা বলা শুরু করে।মেয়েটা আমার এই অসহ্য কষ্ট নিতে পারেনাই স্যার নিতে পারেনাই।কাঁদতো,কপাল দেয়ালে ধাক্কাতো।আমি বাবা হয়ে মেয়ের এতো কষ্ট আর সহ্য করতে পারি নাই।রাতের অন্ধকারে বালিশ চাপা দিয়ে ওকে আমি মুক্তি নেই।জানেন স্যার আমি দেখেছি,আমার মেয়েটা আমাকে বলেছে,”ও শান্তি পেয়েছে,এই নরক থেকে গিয়ে ও খুব শান্তি পেয়েছে।”
রায়হান বাকরুদ্ধ হয়ে সব শুনলো।কি বলবে সে বুঝতে পারছে না।চোখ থেকে কেবল পানি পড়ছে তার।
“ভাই,আমার শেষ ইচ্ছাটা রাখবেন?”
“বলেন ভাই।”
“আর কোনো মেয়েরে যেন ধর্ষিতা নাম ধারণ না করতে হয়। ”
রায়হান নিঃশব্দে উঠে দাঁড়ালো।জামিল চোখ মুছে হাসি দিয়ে বললো,
“কী ভাই,বলছিলাম না!আমার গল্পে খালি কষ্ট।যান যান বাসায় যান,মেয়েটারে আমার দোয়া দিয়েন।”
রায়হান চোখ মুছতে মুছতে বের হয়ে আসে।একজন হাবিলদার তাকে দেখে বলে উঠলো,
“স্যার ওর কাছে বসে কি শুনলেন এতোক্ষুণ? ওইটা মানুষ?নিজেরে মেয়েরে খুন করে দিলো!বাবা নামের কলংক।”
বেশ ভরা গলায় রায়হান সাহেব বলে উঠলো, “নাহ ভুল বলেছো।ও বাবা নামের কলংক না।কলংকিত তো এই সমাজ।নিকৃষ্ট এই সমাজ,এই দুনিয়া এক কলংকিত দুনিয়া।”
বলেন-বললেন(যেহেতু আরেকজনের উক্তি তুলা ধরা হয়েছে)
আকটু-আরেকটু
হুম-হ্যাঁ
ধরণ-ধারণ
কালতো-কাল তো(হয়তো আর নয়তো শব্দ বাদে তো আলাদা বসে)
গল্পতো-গল্প তো
হুম-হ্যাঁ
হুমরে-হ্যাঁ রে
হ্যা-হ্যাঁ
এমন আমি পাগল ছিল-এমন আমার পাগল ছিল(তাহলে লাইন মিলে)
কি-কী(যেহেতু ব্যাখ্যা চেয়েছে)
জানোয়ার গুলো-জানোয়ারগুলো(গুলো শব্দের সাথে বসে)
পারেন নি-পারেননি(নি শব্দের সাথে বসে)
প্রমান-প্রমাণ
আকটু-আরেকটু
ভীর-ভিড়
পারেনাই-পারে নাই
মুক্তি নেই-মুক্তি দেই
কি-কী (যেহেতু ব্যাখ্যা জানতে চেয়েছে)
এতোক্ষুণ-এতক্ষণ
বাহ্ চমৎকার লিখেছেন তো, পড়ে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। আসলেই কলংকিত এই সমাজ। তবে গল্প ভালো হলেও ভুলের মান বেশি। হুম এটা কোনো হ্যাঁ বুঝনোর শব্দ নয়। এটা ফেসবুকে এমনিতেই তৈরি হয়ে গিয়েছে, যা ৪-৫বার উল্লেখ করেছেন। যাইহোক ধর্ষণ থামাতে হলে নিজেদেরকেই আগে সচেতন হতে হবে। কোনো মেয়েকে দেখলে যখন যৌনতার লোভ পাবে, তখন ভাবতে হবে আমারও তো বোন আছে। ছিঃ ছিঃ এইসব কী ভাবছি। আমার বোনের সাথেও তো হতে পারে। কিন্তু কয়জন বা ভাবে এইসব? যাইহোক বানানের দিকে আগামীতে খেয়াল রাখবেন আশা করি, আর অনেক অনেক শুভ কামনা রইল। এইভাবে বাস্তব চিত্র লিখে যান, যদিও জানি না ধর্ষণ এর কষ্টের থেকে কোনো বাবা তার মেয়েকে মেরে মুক্তি দিয়েছি কিনা।
অসাধারণ লিখেছেন।
মনোমুগ্ধকর লেখা।
পড়ে ভালো লাগলো।
জামিল সাহেব মেয়ের কষ্ট,বদনাম সইতে না পেরে বালিশ চাপা দিয়ে শেষ করে দিলেন চির দিনের জন্য।
খুবই মর্মান্তিক কথা।
সমাজ বাঁচতে দিলো না।
প্রতিবন্ধী হয়েও ছাড় পেলো না।
কলংকিত সমাজ কলংকিত বাবা না।
ধর্ষণের কোনো বিচার নেই।শুধু দেখে যেতে হয়।
হ্যা–হ্যাঁ
নিঃষ্পাপ–নিষ্পাপ
কত টা–কতোটা
মুক্তি নেই–মুক্তি দেই
ভীর–ভীড়
শুভ কামনা রইলো।
লেখার হাত ভালো।
যখন কোন লেখক তার গল্প/কবিতার জন্য পাঠককে কাঁদাতে পারে তার চেয়ে বড় আর কোন সার্থকতা হয় না।
খুবই সুন্দর হয়েছে গল্পটা। মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী হলেও মিথি সময়ের সাথে বেড়ে উঠছিল, কিছু পশুদের লোভাতুর দৃষ্টি পড়ে তার উপর। সে পরিস্থিতি তৎক্ষণাৎ বুঝে উঠতে পারে নি বলে প্রতিবাদ করতে পারে নি,ভাগ্য সহায় ছিল না। এসব পশুদের অত্যাচার সহ্য করে বেঁচে থাকাও ছিল তার জন্য কষ্টকর যা সমাজ তৈরি করে দিয়েছে। তার বাবা তার এ অকথ্য যন্ত্রাণা সহ্য করতে পারে নি বলেই তাকে হত্যা করেছে। কতটা নিরুপায় হলে এমন করতে হয়!
ধর্ষকের শাস্তি চাওয়ার আগে ভাবতে হবে কোন মেয়ে যেন ধর্ষিত না হয়।
সুন্দর হয়েছে।
একটু আক্টু- একটু আধটু।
ঘেটেও- ঘেঁটেও।
চেল্লানো- চিল্লানো।
প্রমান- প্রমাণ।
ভীর- ভীড়।
এতোক্ষুণ- এতোক্ষণ।
শুভ কামনা।