অনুষ্কা_সাহা_ঋতু
সেকালে,
কামুক কণ্ঠে অসুর যবে পুকারে মাতারে, বলে,”ওহে সুন্দরী রমনী! এসো মোর জঙ্ঘায় বসে হও অসুর নন্দিনী। ”
সহাস্যে মাতা বলেন বড়ই করুণা লয়ে,” ওহে মূর্খ! আমি জগৎজননী, সমগ্র সংসার মোর সন্তান,
সেই সম্পর্কে আমি তোরও মাতা হলাম।”
অসুর তখন নত মস্তকে দৃষ্টি ঝু্ঁকায়ে মাতারে কহিল,”মাতা মোর, ক্ষমা করো মোরে,আমি অজ্ঞ অতি! তাইতো এ হেন ঘৃণ্য প্রস্তাবে পাপিলাম পূণ্যবতী”।
.
আর একালে,
শরতের ঘনঘটায় অসুরদলনীর অকাল বোধন।
এক নারীরে দেবীরূপে পূজিছে মর্ত্য মাঝে,
সেই নারীরেই মানবী রূপে লজ্জা হরে সাঁঝে; ধিক্কারীয়া মরে,
অবলা কী তবে নারী মানবী রূপে!
কদাপি নয়,
ওরে, দুইই যে মাতা, দুইই যে নারী,
টানিয়া খুলিলে তো তবে সেই মাতারই শাড়ি!
সন্তান হয়ে মা’কে কিভাবে বলতে পারে কামুক কণ্ঠে।
জগৎ জননী মা’ তার সাথে তো এসব কথাই বলা যায় না।
সত্যিই একটা মূর্খ।মাকে ঘৃণ্য প্রস্তাব দেয়।
শুভ কামনা রইলো।
দারুণ! পুলকিত হলাম কবিতাটা পড়ে। শব্দগুলো কঠিন হলেও কবিতাটা পুরোটাই আমার বোধগম্য হয়েছে এজন্য বেশ ভালো লাগল।
কবিতায় বাস্তবরূপ তুলে ধরেছেন। নারীজাতি মায়েরই জাতি। এস্থান পৃথিবীর অন্যকেউ নিতে পারবে না। যেই নারী আমাদের পৃথিবীর আলো দেখায় তেমনি সে সকলের কাছেই মাতৃতুল্যা ও শ্রদ্ধার পাত্রী। তাই তো তাকে সর্বদা সম্মানের সিংহাসনে রাখা হয়। কিন্তু বর্তমানে কিছু নরপিশু আছে যারা প্রকাশ্যে নারীদের অপমান অবহেলা করছে। খবরের পাতা খুললেই দেখা যায় ধর্ষণের, ইভটিজিং এর খবর। আর কত সইতে হবে এই অত্যাচার?
বানান ভুল পাই নি। অনেক শুভ কামনা আপনার জন্য।
রমনী-রমণী
তাইতো-তাই তো(হয়তো আর নয়তো শব্দ বাদে তো আলাদা বসে)
বাহ্ বেশ ভালো লিখেছেন। যতটুকু পড়ে মনে হলো হিন্দু ধর্মের কিছু একটা দিক তুলে ধরেছেন। আর আগের আর এইযুগের নারীদের ঘটনা। বানানে কিছু ভুল পেলাম সেইদিকে আগামীতে খেয়াল রাখবেন আশা করি আর অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।