সাকিব জাহান পিয়াস
.
বড় রাস্তার ড্রেনের পাশে,
স্যুট কোট পরা এক ফুলবাবু দাঁড়িয়ে!
প্রবল বেগে মূত্র বিসর্জন করেন তিনি,
মুখে তার হাসি, মনে পরম প্রশান্তি।
সেই বড় রাস্তার ড্রেনের কাছে,
ঠিক ফুলবাবুর পাশে—
কালু ফকির মুতে খুব ধীরবেগে,
তার অনাহারী শরীরের শেষ সম্বল,
বড়ো মায়া লাগে,
ত্যাজ্য হলেও তো তার-ই তরল।
ওই বড় রাস্তাটার ড্রেনের সামনে,
ফুলবাবু আর কালুর মাঝে আমিও দাঁড়িয়ে!
ভাবি, ড্রেনের ধারে নাই বিভেদ, বিভক্ত?
মূত্রের কোনো বংশ নেই? জাত নেই?
মূত্র তার মালিক চেনে না? অর্থ চেনে না?
ইজ্জত থাকে কই!
মনে চিন্তার ঝড়,
শরীরেও ঝড়; ইউরিয়ার!
আমি সব ঝড় থামাতে চাই,
শরীরের ঝড় কমাতে কমাতে মনের কথা ভাবি,
কিন্তু ত্যাগের মাল মনের তাল মিলে না কখনো,
শরীরের ঝড় থামে,
মনের ঝড় থামে না,
আমি, কালু ফকির, ফুলবাবু একসময়
ঘুরে দাঁড়াই—একইসাথে!
ঘুরে দাঁড়াই বাস্তবতা অথবা
জাত ফাত ইজ্জত বা বিভেদের সামনে
ফুলবাবু তার প্রাইভেট গাড়ির সামনে,
কালু তার ভিক্ষার থালার সামনে,
আমি বেকারত্বের সামনে!
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
ঠিকই লিখেছেন।যখন প্রয়োজন সামনে এসে দাঁড়ায় তখন গরীব ধনী ছোট বড় কোন ভেদাভেদ থাকে না। প্রয়োজনের জন্য তখন সকল স্থানই সমান হয়ে যায়। তখন থাকে না কোন অহংকার। কোন বিদ্বেষ। সুন্দর লিখেছেন বানানও নির্ভুল।
মুসলমানরা একে অপরের ভাই ভাই।তাদের মাঝে থাকতে পারে না কোন বিভেদ পার্থক্য।এই পার্থক্য শুধু মানুষই সৃষ্টি করেছে।
যখন তিনজনের মূত্র একসাথে হয়,তখন কি কেউ বলতে পারবে কোনটা কার শরীরের।
হবেনা,সম্ভব না।কারণ এটা তরল।এর পার্থক্য হয়না।তবে আমরা মানুষজাতি কেনো এই পার্থক্য তৈরি করলাম।মরণের পর সবাইকে তো মাটির সাথে মিশতে হবে।তবে কেনো আমরা এই পার্থক্য ভুলে গরিবদের নিজের বুকের সাথে মিশিয়ে নিতে পারি না?
কবিতাটা ভালো লেগেছে?তবে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে মূত্র **
একজন মুসলমান কখনোই এটা করতে পারে না।
ইসলাম আমাদের এই শিক্ষা দেয়য় না।
ধন্যবাদ
ভালো লিখেছেন।তবে কবিতার ভাবার্থ তেমন বুঝি নাই।
সত্যিই মূত্র বিসর্জন করলে মনে বড় প্রশান্তি আসে।
মুখে হাসি ফুটে।
ড্রেনের দারে নাই কোন বিভেদ।সবাই দাঁড়িয়ে মূত্র ত্যাগ করে।ফুলবাবু ও তেমনি।
শুভ কামনা রইলো।
বানান ভুল চোখে পড়েনি।
.
মুতে শব্দটা পরিবর্তন করে অন্য শব্দদ বসাতে পারতেন। শব্দটা কেমন যেন হাস্যকর মনে হলো।
.
যাইহোক,
নামকরণটা যথার্থ।
কনসেপ্টটা ভিন্নমাত্রার।
লেখনীও চমৎকার।
.
মহান অাল্লাহ তায়ালার দুনিয়ায় সবাই আমরা মানুষ। আমাদের এটিই বড় পরিচয় হওয়া উচিত। অথচ ধনী নামের কিছু মানুষ ভেদাভেদ করে দেয়। অথচ আমরা সবাই সমান।
.
ব্যবধানের বিষয়টা খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন।
খুব ভালো লাগলো।
শুভ কামনা রইলো।