হায় শান্ত!
– ইলিয়াস বিন মাজহার
খুবই শান্ত ছিলো “শান্ত”। একদমই ভিন্ন ও অন্যরকম ছিলো শান্ত’র জীবনযাপন পদ্ধতি। কারোর সাথে মিলাতে পারেনি কেউ ওর মেজাজ মর্জি।
অন্য দু’চারটি ছেলে যেমন ভালো থাকতে চেয়েও বখাটে বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে ভালো থাকার দৃঢ়তা হারিয়ে ফেলে। তেমন বন্ধুদের খপ্পরে পড়লে শান্তও যে আর ভালো থাকতে পারবে না, সেটা ও খুব ভালো করেই বুঝে। সঙ্গ দোষে যে লোহাও ভাসে তা খুব ভালো করেই জানে শান্ত। তাই কাউকেই সঙ্গ দেয় না সে কখনো। বখাটে বন্ধুদের সাথে থেকে ভালো ছেলেগুলোও হয়ে যায় মাস্তান,গুণ্ডা, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ এবং অবৈধ সব কাজের মাথা। এমন অনেক দেখেছে সে স্বচক্ষে। শান্ত’র মত হাজারো “শান্ত” হারিয়ে যায় বিভিন্ন নেশার জগতে এই সঙ্গদোষে। অবৈধ সব কাজে হয়ে যায় তারা সিদ্ধহস্ত। কিন্তু, সে ধোকার জালে আটকে যায়নি শান্ত। সে ফাঁদে পা দেয়নি সে কখনো। কেউ তাকে ঘর থেকেই পারেনি মিনিট দুইএকের জন্য বাহিরে নিয়ে যেতে। শত কলাকৌশল করেও ব্যর্থতার গ্লানি বরণ করে নিতে হয়েছে তাদেরকে।
ভদ্র, শান্ত, বুদ্ধিমান ও ভালো ছাত্র হিসেবে শান্ত’র সুখ্যাতি ছিলো পুরো গ্রামজুড়ে। শান্ত কখনো চোখ তুলে কারো দিকে তাকিয়েছে, কড়া ভাষায় কথা বলেছে, বেয়াদবি করেছে, এমন কোন নজিরও নেই। স্কুলের টিচার, ম্যাডাম, স্টুডেন্ট বিশেষ করে বড় ছোট সব মেয়েদের চোখেই ও ছিল “স্মার্ট বয়”। সবাই ওকে খুব ভালবাসতো। মেয়েরা দূর থেকে চেয়ে থাকতো। কাছে গিয়ে আড়ে আড়ে তাকাতো। সবাই তাকে ভিন্ন নজরে দেখতো।
কিন্তু, শান্ত’র কোন ভ্রুক্ষেপ ছিল না কারো প্রতি। ও যেন মানুষ নয়, একটি জলজ্যান্ত হাতি। কতজন ওকে ডাকে আড্ডায় বসতে, একটু সময় দিতে। কিন্তু, ওর পাত্তাই নেই সেদিকে। ও যখন আসে স্কুলে, তখন ওর দিকে চেয়ে থাকে সবাই। যেন চিড়িয়াখানা থেকে কোন প্রাণী এসেছে! না হয় আসমান থেকে কোন ফেরেশতা নেমেছে। অনেকের কাছে ও হাসির পাত্রও বটে এমন শান্তভাব আর নীরবতার কারণে। কারো সাথে তেমন কথাও বলে না, কেয়ার করে না ও কাউকে।
অনেকেই ওকে ডাকাডাকি করে কিন্তু ও কোন সাড়া দেয় না। তাই “ও কি বধির?”- বললো ক্লাস সেভেনের একটি ছাত্রী। কয়েকজন দাঁড়িয়ে গল্প করছিল। মেয়েরা একটু এমনই, এক হলেই গল্পের থলে মেলে বসে। কারোর নিন্দা বা কারো গুণগান করতে থাকে। ওরাও গল্প করছিল আলোচিত-সমালোচিত শান্ত ছেলে “শান্ত”কে নিয়ে। এমন সময় তাদের মধ্য থেকে একটি মেয়ে সামনে দিয়ে শান্তকে যেতে দেখে বলে ফেললো এমন কথা। সাথেসাথেই খটমট করে ঘুরে দাড়ালো শান্ত। রক্ত চক্ষু তখন তার। দেখে ভড়কে গেলো মেয়েরদল। কি জানি কি করে বসে এখন! সে আশংকায় পিছন থেকে কয়েকজন তো “দে ছুট হা ছুট”।
দৃষ্টি নামিয়ে আবার হাটা ধরলো শান্ত তার ক্লাসের দিকে। এই প্রথম হয়তো স্কুলের কেউ দেখলো শান্ত’র সুশ্রী মুখাবয়বে রক্তিমাভাব।
মেয়েটি এত জোরে বলতে চায়নি। এমন সবাইতো বিভিন্ন মন্তব্য করে চুপিসারে বা জোরেশোরে, কিন্তু তা শান্ত’র কানে যায় না বা ও শুনেও শুনে না। কিন্তু এখন মেয়েটির মুখ ফোসকে বেরোতেই…
স্কুলের উত্তর গেইট থেকে সোজা ভেতরে একটু সামনেই ক্যান্টিন। ক্যান্টিনের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলো বৃষ্টি আর ওর বান্ধবীরা। ওখান থেকেই বলেছিলো ঐ কথা। ক্যান্টিন থেকে শ’গজ পশ্চিমে শান্তদের ক্লাসরুম। সেদিকেই চলে গেল শান্ত।
শান্ত এবার জেএসসি পরীক্ষার্থী। প্লে-গ্রুপ থেকে আজ অবধি ওর রেজাল্টে কেউ ভাগ বসাতে পারেনি। সব সময় সে “ফাস্ট বয়”। এতবড় হয়েছে তবুও শান্ত বন্ধু বানায়না কাউকে। স্কুলে পড়ে, বন্ধু নেই, শুনতেই তো অবাক লাগে। সবারই দু’চারজন কমপক্ষে তো থাকে বন্ধুবান্ধব, কিন্তু ওর নেই একজনও। ও এসব বুন্ধবান্ধব পছন্দ করে না। সব সময় একা থাকতে, একা কথা বলতে, একা একা-ই সব কিছু করতে ভালোবাসে। প্রয়োজনের তাকিদে যেখানে যতটুকু না বললেই নয় ততটুকু বলে।
শান্ত’র সারাদিনের রুটিনের বিশাল অংশ জুড়ে আছে শুধু পড়া আর লেখা। অযথা সময় নষ্ট করার ছেলে সে না। গরীব ঘরের ছেলে শান্ত। তাই সময়ের মূল্যবোধ আছে তার মাঝে। বাবা নেই, বড় বোন; রিমি আর মা’ই হলো তার সব। আর কাউকে কখনো চায়না সে। বড় বোনের টিউশনি আর স্কুলের যে বেতন তাতেই তিনজনের খেয়ে পরে দিন চলে যায়। শান্ত’র বাবা ছিলো খুব বিলাসী। পৈত্রিক সম্পত্তি যা এসেছিল ভাগে সব নেশা আর ফুর্তি করেই শেষ দিয়ে গেছে। কিন্তু, ছেলে মেয়ে দু’টো এমন আদর্শবান হওয়ার পিছে ছিল শুধু তার মায়েরই অবদান।
রিমি খুব বেশি যত্নবান শান্ত’র প্রতি। যে স্কুলের ম্যডাম রিমি, সে স্কুলেই পড়ে শান্ত। তাই সব সময় বড় বোনের নজরে থাকে ও।
রিমির কড়া একটা আদেশ বা উপদেশ কিংবা নির্দেশ যে, “যা করিস তা করিস ভুলেও যেন শয়তানের ফাঁদে পা দিস না”। রাসূল সা. এর বাণী; একটি হাদিস প্রায় শান্তকে শুনিয়ে সতর্ক করে দেয় রিমি। “আন-নিসাউ হাবাইলুশ শায়তান” বলে অর্থ করে দেয়, “নারীজাতি শয়তানের ফাঁদ” তাই সব সময় নিজেকে সেভ রাখবি।”
আর শান্তও বড় বোনকে খুব মানে। তাই কখনো তার কথার প্রতিকূল কোন কাজ সে করে না।
তবে মানার সেই মাদ্দা হারিয়ে ফেললো জেএসসি পরীক্ষার পরেই।
শত আশংকা আর ভয় ছিলো যে বিষয়ে। যে বিষয়ে রিমি বেশি সতর্ক করতো শান্তকে সব সময়। শান্তও সেভ থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করতো যে মেয়েদের থেকে, সেই তাদেরই জালে ফেঁসে গেলো সে।
রিমি বাড়িতে নেই। শহরে গেছে স্কুলের কোন এক কাজে। ফিরতে দু’চার দিন লেগে যাবে। এখন আর শান্তকে গার্ড দেওয়ার মত কেউ নেই। “রিমি ম্যাডাম আজ স্কুলে নেই আজই শান্ত’র কোন একটা ব্যবস্থা নিতে হবে” বলে অভি ও তার বন্ধুবান্ধব মিলে তাকে অজ্ঞান করে নিয়ে গেলো এক নির্জন পরিত্যক্ত বাড়িতে। দিনের আলোতেও যেখানে যেতে সবাই ভয় পায়। এমন স্থানে।
ওরা এমন একটি সুযোগের আশায় ছিলো বহুকাল। কখনোই তাদের এই হীনকর্মে সফল হতে পারেনি ম্যাডাম রিমি’র কারণে। আজ সেই অনেক দিনের সাধনা পূরণ হতে চলেছে। শান্তকে বৃষ্টির প্রেমের ফাঁদে ফেলে সবার চোখে মন্দ বানাতে চায় ওরা। শান্তর প্রতি বৃষ্টির দুর্বলতাকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে এসবের আয়োজন করেছে শান্ত’র ক্লাসমেট ; চেয়ারম্যানে ছেলে অভি। ক্লাসের লাস্ট বেঞ্চের ছাত্র সে। তাকে সব সময় সব টিচারই শান্তকে দেখিয়ে ইতিবাচক নিতিবাচক কত কথা শুনিয়ে দেয়। তার মত ব্রিলিয়ন্ট এবং ভদ্র হওয়ার কথা শুনায়। যা অভির একেবারে সহ্য হয় না। কিন্তু কিছু বলতেও পারে না সইতেও পারেনা। সুযোগও মিলে না রিমি ম্যাডামের কড়া নজরদারীর কারণে। তবে আজ…
অভি যখন জানতে পারে ওর নিচের ক্লাসে একটি মেয়ে শান্তকে খুব করে ভালোবাসে, কিন্তু বলতে পারে না। তখনই মাথায় এমন প্লান এটে রাখে অভি, এবং খুঁজতে থাকে সুযোগ। বৃষ্টিও শান্তকে পাওয়ার আশায় না বুঝেই অভির এসব হীনকর্মের সহযোগী হয়।
“আমি এখানে কেন?”- খানেকবাদেই জ্ঞান ফিরে পেয়ে বললো শান্ত।
“আপনাকে আমরা খুঁজতে খুঁজতে এখানে এসে পেলাম”- বললো বৃষ্টি।
শান্ত’র চোখেমুখে ভয়েরচিহ্ন স্পষ্ট। কাপাকাপা গলায় সে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে বললো, ” আমাকে একটু বাড়ি পৌঁছে দেবে?”
“হ্যা, তা তো অবশ্যই। কিন্তু আপনি এখানে এলেন কি করে?- বৃষ্টি জানে যে, অভি আর তারাই এখানে এনেছে। তবুও…!আর এখন অভিসহ তার বন্ধুরা লুকিয়ে তামাশা দেখছে বৃষ্টি আর তার বান্ধবীদেরকে শান্তর কাছে রেখে। “আমি কিচ্ছু জানি না। শুধু মনে পড়ছে আমি স্কুলের গেইট থেকে বের হয়েছি পরে কে যেন পিছন থেকে আমাকে শক্ত করে ধরে মুখের উপরে রুমাল পেঁচিয়ে দিয়েছে। ব্যস, এতটুকুই। আর কিচ্ছু আমি জানি না।”
এখনো মাথা উঠাতে পারেনি শান্ত। বৃষ্টির কোলে শান্তর মাথা। বাচ্চা ছেলের মত শুধু আমতাআমতা করে উত্তর দিচ্ছে বৃষ্টির প্রশ্নের। অনেকটা দূর্বল হয়ে পড়েছে শান্ত’র শরীর।
“আচ্ছা, ভয় নেই আমি আছি তো”- বৃষ্টি আশ্বাস দিল। এবার মাথা তুলে সোজা হয়ে বসলো শান্ত। দেখলো সে, তাকে ঘিরে বসে আছে তার নিচের ক্লাসের কয়েকজন ছাত্রী।
ঘটনার পর থেকে এখন প্রতিনিয়ত গোপনে, আড়ালে-আবডালে দু’জনের দেখা হয়, সাক্ষাৎ হয়, কথা হয়। সেদিনের বিপদের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য বারবার সে বৃষ্টিকে থ্যাংকস জানায়। এ দুর্ঘটনার কথা কাউকেই জানায় না শান্ত। নিজেও কোন ঘাঁটাঘাঁটি করে না এই বিষয়টি নিয়ে। বৃষ্টিও চেষ্টা করেছে যেন সেদিনের ব্যাপারটা নিয়ে ও না ভাবতে পারে।
এর মাঝে আস্তে আস্তে গড়ে উঠে দু’জনের মাঝে গভীর সম্পর্ক। শান্ত ভুলে যায় বোনের সতর্কবাণী। ভুলে গিয়ে ফেঁসে যায় শয়তানের ফাঁদে।
কিছুদিন না যেতেই বৃষ্টি লাভ প্রপোজ করে বসলো শান্তকে। কিন্তু, শান্ত এতটাই সাদাসিধে যে এর কোন মানেই সে বুঝে না। পরে প্রতিদিন রিমির চোখ ফাকি দিয়ে ওরা দু’জন একসাথে এক নির্জনে গিয়ে আলাপ করে। বৃষ্টি শেখায় শান্তকে প্রেমপ্রেম পাগলামী। শান্তও প্রেমে পড়ে যায় বৃষ্টির।
প্রথম প্রথম একটু ইতস্ততবোধ করলেও পরে শান্ত’র কাছেও খুব ভালো লাগে।
এদিকে কুচক্রী অভি তো সফল। এখন আর “শান্ত” ভদ্র নয়। শান্তও এখন অন্য দু’চারটি চরিত্রহীন ছেলের মত মেয়ে নিয়ে নির্জনতা অবলম্বন করে। যদিও অসামাজিক কিছু করে না। কিন্তু তা করতে আর কতক্ষণ!
একদিন বৃষ্টি বললো, “আমি তোমাকে একটু জড়িয়ে ধরি?” শুনেই লাফ দিয়ে দু’হাত পিছিয়ে গেল শান্ত।
“কি বল এসব?” -একটু ইতস্ততবোধ করলো শান্ত। কিন্তু সে পানি গড়িয়ে গেলো পরদিনই।
যখন বৃষ্টি তাকে বঝালো যে, এটা প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য কোন খারাপ কিছু না। কোন সমস্যাও নেই। তখন এই “আদা পড়া” খেয়ে শান্তও উদ্ধত হলো বৃষ্টিকে তার বুকে টেনে নিতে। শান্ত বুদ্ধিমান বটে, কিন্তু সে বুদ্ধি ঘায়েল হয়েছে শয়তানের ফাঁদে পড়ে।
তারপর যা কিছু ঘঠেছে আড়াল থেকে ক্যামেরাবদ্ধ করেছে অভি। তার আশা পূর্ণের লক্ষে। শান্তকে খারাপ হিসেবে সাব্যস্ত করতে।
চলতে থাকে তাদের দু’জনের নির্জনে সাক্ষাৎ, প্রেমালাপ আরো কত কি। এভাবে পার হলো শান্ত’র নবম শ্রেণী।
আসলো এসএসসি’র বছর। কিন্তু, অভি আর শান্ত’কে কালারিং করার কোন মউকা পেলনা এর ভেতর। তাই এসএসসি’র বছর অভি শান্তকে দেখালো বৃষ্টির সাথে কাটানো বিভিন্ন সময়ের “প্রেমালিঙ্গন”র ছবি।
অভি ব্লাকমেইল করে শান্তকে। স্কুল ছেড়ে যাওয়ার হুমকি দেয় ওকে। না হয় এসব ভিডিও ভাইরাল করে দেয়ার ভয়ও দেখায় অভি।
শান্ত তখন অশান্ত হয়ে উঠে। কি করবে ভেবে পায়না।
রাতে শুয়ে শুয়ে চিন্তা করতে থাকে। মা ও বোনকে এখন কি জবাব দেবে সে! সামনে এক্সাম এখন স্কুল ছেড়ে যাওয়াও পসিবল না। না গেলে এসব ভাইরাল করে দেবে অভি। এগুলো দেখলে সবাই আমাকে থুঃ থুঃ দেবে।
আমার প্রতি সবার মনে বিশ্বাসের পাহাড় নিমিষেই ভেঙ্গে পড়বে। এসব দুইচার ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লো সে।
পরের দিন খুব সকালেই রিমিকে না বলে স্কুলে চলে গেল শান্ত। এখন আর শান্ত “শান্ত” নেই সে এখন অশান্ত। ভেতরে আগুন জ্বলছে দাওদাও করে।
অভিকে থামাতেই হবে যে করে হোক এ বদনাম থেকে বাঁচতে হলে। কোন হিসাব মিলাতে পারছেনা শান্ত। কি করবে কোন দিশা খুঁজে পাচ্ছেনা সে। বৃষ্টি কে জানালো শান্ত এসব কথা। বৃষ্টি বলে দিল যেভাবেই হোক অভির কাছ থেকে ওটা আনতেই হবে।
বৃষ্টির কথায় সে গিয়েছিল ভিডিও ফুটেজ আনতে। কিন্তু অভি দিতে অস্বীকৃতি জানালে শান্ত তার মাথায় রড দিয়ে সজোরে আঘাতহানে। প্রতিরক্ষা করার আগেই আবার আঘাত করে মাথার মাঝখানে। রক্তাক্ত হয়ে অভি লুটে পড়ে জমিনে। ছাত্রছাত্রী জমা হয়ে গেছে এতক্ষণে। অভিকে হাসপাতালের বেডে আর শান্তকে পাঠানো হয় লালদালানে। সেদিনই হাসপাতালে মারা যায় অভি। আর শান্ত হয়ে যায় কয়েদী। এখন সে ফাসিঁর আসামী।
ধোকার-ধোঁকার
হাটা-হাঁটা
শুনেও শুনে না -শোনেও শোনে না
কাপাকাপা-কাঁপা কাঁপা
হ্যা-হ্যাঁ
কিচ্ছু-কিছু
ফাকি-ফাঁকি
শুনেই-শোনেই
পাচ্ছেনা-পাচ্ছে না
ফাসির- ফাঁসির
গল্পটা যে শেষে শান্ত ফাঁসির আসামী হবে ভাবতেই পারিনি।
অনেক ভালো ও চমৎকার গল্প ছিল। বানানভুল বলে দিলাম দেখে নিবেন, শুভ কামনা রইল।
শান্ত’র জন্য কেমন যেন লাগলো। খুব ভালো লেগেছে লেখাটা। শুনে বানানটা প্রতিযোগিতার অনেক গল্পেই দেখলাম ভুল। এটা শোনে হবে। শুভকামনা।
আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রসঙ্গে কিছু কথা :
গল্পটা কেমন যেন তেমন একটা মন ছুঁতে পারেনি। কিছুটা সিনেম্যাটিক লেগেছে। বেশ কিছু গড়মিল লেগেছে। সামান্য একটা বিষয়ের জন্য কেউ কাউকে খুন করতে পারে না। তাছাড়া বোন স্কুলের শিক্ষিকা আর ভাই ক্লাস এইটে পড়ে। মানে প্রায় ১২-১৩ বছরের ব্যবধান। তাছাড়া শান্ত খুব শান্ত ছেলে। অথচ তাকে মেয়েরা স্মার্ট বয় বলে ডাকে ব্যাপারটা হাস্যকর। কেননা শান্ত ছেলেদের মেয়েরা সাধারণত হাবলা বা বলদ বলে বলেই জানি। আর গল্পে বারবার শান্ত নাম না লিখে সে করে লিখলে ভালো হতো। গল্পের অনেকটা অংশ জুড়েই শান্ত যে ভীষণ শান্ত সেটা বোঝানোর চেষ্টা ছিল। কিন্তু এটার তেমন প্রয়োজন ছিল না। গল্পটা কাঁচা হাতের লেখা বলে মনে হয়েছে। লেখনী আরও ভালো হওয়া প্রয়োজন। লেখার মধ্যে মাধুর্যতার অভাব। অন্যান্য ভুলগুলো নিচে দেওয়া হলো :
কি/কী এর ব্যবহার ঠিক নেই
নিতিবাচক – নেতিবাচক
ব্রিলিয়ন্ট – ব্রিলিয়ান্ট
নেশা আর… শেষ দিয়ে গেছে – নেশা আর… শেষ করে দিয়ে গেছে
নারীজাতি – নারী জাতি
মাদ্দা মানে কী? ঠিক বুঝিনি আমি
সাথেসাথেই – সাথে সাথেই
মেয়েরদল – মেয়ের দল
হাটা – হাঁটা
এত – এতো
ধোকার – ধোঁকার
দুইএকের – দুই একের
গ্রামজুড়ে – গ্রাম জুড়ে
কোন – কোনো
কাছে গিয়ে আড়ে আড়ে তাকাতো – কাছে গিয়ে আড় চোখে তাকাতো
জলজ্যান্ত হাতি কথাটা কেমন যেন বেমানান
পাত্তাই – পাত্তায়
বানায়না – বানায় না
বন্ধুবান্ধব – বন্ধু-বান্ধুব
লালদালানে – লাল দালানে
বঝালো – বোঝালো
মত – মতো
আমতাআমতা – আমতা আমতা
তাকিদে – তাগিদে
চায়না – চায় না
পারেনা – পারে না
পেলনা – পেল না
ফাকি – ফাঁকি
হ্যা – হ্যাঁ
আঘাতহানে – আঘাত হানে
ভয়েরচিহ্ন – ভয়ের চিহ্ন
থুঃ থুঃ – থুথু
আগামীতে খেয়াল রেখে লিখবেন। এতো ভুল গল্পের মান নষ্ট করে। শুভ কামনা।
চমৎকার লিখেছেন।
বর্ণনাভঙ্গি দারুণ।
পড়ে ভালো লাগলো।
শান্তর জন্য কষ্ট লাগলো।
অবশেষে সেই ফাঁসির আসামী হয়ে গেল।
বানান ভুল আছে।শুধরে নিবেন।
শুভ কামনা রইলো।
গল্পের উপর কমেন্ট কি করব, সেটাই বুঝছি না। বাংলা সিনেমার গল্প হয়ে গেছে। এই ধরনের থিমের গল্প ফেবুতে ভরি ভরি।
যাইহোক, বড়দের কথা না শোনা, এবং নারীদের প্রতি আকৃষ্ট হওয়া কোনটাই সুবিধা নয়। সেটাই ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। যদিও গল্পে, শান্ত ছেলেটা ফাঁদে পড়ে এমন টা করতে বাধ্য হয়েছে। তারপরে, শোধরানোর সময় ছিলো, আমাদের কারো জীবনেও হয়ত এমনটা আসবে। সতর্ক থাকতে হবে