~~~
গল্প: দায়িত্ব
~~~~
নিজের বিয়েটা যেন মেনে নিতেই পারছেনা হাসনা।
হঠাৎ করেই হাসনার বিয়ে হয়ে যায় তার চেয়ে অনেক বেশি বয়সের মানুষটার সাথে।
হাসান সাহেব যার বয়স প্রায় চল্লিশ।
আর হাসনার বয়স মাত্র পঁচিশ বছর।
হাসনার স্বামী হাসান সাহেব অনেক বড় ব্যবসা করেন।
কোনো কিছুর অভাব নেই তার তবুও যেন হাসনা নিজেকে মানিয়ে নিতে পারছেনা এই মানুষটার সাথে।
এই বয়সে তিনি কেন বিয়ে করলেন আর কেনই বা এতদিন বিয়ে করেননি, কি রহস্য লুকিয়ে আছে এর পেছনে সেটাই প্রকাশিত হবে এই গল্পের মধ্য দিয়ে।
– হাসনা আমি জানি তুমি আমাকে মেনে নিতে পারছোনা আর মানতে পারবেওনা।
– না মানে সেরকম কিছুনা।
– আর মানবেই বা কেন কারন প্রত্যেকটা মেয়েই চায় তার স্বামী যেন হয় অনেক সুন্দর, স্মার্ট। আমি এসবের কিছুই না এবং বয়সটাও অনেক।
~~~
হাসনা আর হাসান সাহেবের মধ্যে কথাগুলো হচ্ছিল।
হাসনা নিজেও জানে তার স্বামী অনেক ভালো, কোনো কিছুর অভাব রাখেনি কখনো কষ্ট দেয়নি। তবুও সেই বয়সের ব্যাপারটাই বার বার তার মনে দাগ কাঁটে।
তাদের সংসারটা খুবই সাজানো গোছানো ছিল।
একমাত্র এই বয়স নামক জিনিসটাই প্রতিবারই তাদের সাংসারিক জীবনকে দূর্বীষহ করে তুলছে।
একদিন হাসান সাহেব তার স্ত্রী হাসনাকে তার পুরনো জীবনের ঘটনা বলতে শুরু করলো।
– শোনো হাসনা আজকে আমার জীবনের ঘটনা তোমাকে বলবো তারপর যদি তোমার ইচ্ছা হয় আমাকে ছেড়ে চলে যেতে পারো।
– জ্বি আপনি বলেন।
– আমরা ছিলাম চার ভাই-বোন।আমি সবার বড়। আমার ছোট বোনটার জন্মের সময় মা মারা যান।তারপর ছোট বোনটার বয়স যখন পাঁচ বছর তখন বাবা মারা যান।তখন আপন বলতে আমাদের আর কেউ ছিলনা।সবার চেয়ে বড় হওয়ায় সংসারের হাল ধরতে হয় আমাকে।প্রথমে দিনমজুরের কাজ করতাম। অনেক কষ্ট হতো তবুও হাল ছাড়তাম না। সারাদিন পরিশ্রম করে নিজে খেয়ে না খেয়ে বোনদের মুখে দুবেলা খাবার তুলে দিতাম।দিনমজুরের কাজ ছেঁড়ে রাস্তায় নামলাম রিক্সা নিয়ে।
নিজে কষ্ট করতাম তবুও কলিজার টুকরা বোনগুলোকে কষ্ট পেতে দিতাম না।সারাদিন রিক্সা চালিয়ে সংসারের আর বোনদের পড়ালেখার খরচ চালাতাম।পরিশ্রম করতাম আর বড় থেকে বড় কিছু করার চেষ্টা করতাম।একসময় বোনদের বিয়ে দিলাম।এভাবে কখন যে নিজের বয়সটা পেরিয়ে গেছে বুঝতেই পারিনি।
~~~
হাসনা হাসান সাহেবের ঘটনা শুনে তাকে আর ছেড়ে যায়নি।
“দায়িত্ব” খুব ছোট একটা শব্দ কিন্তু কাজটা অনেক বড় যেটা সবাই পালন করতে পারেনা।
হাজারো সালাম জানাই হাসান সাহেবের মতো দায়িত্ববানদের।
লেখক: আকরাম হোসেন ফারাবি।
পূনর্জন্ম
জুয়াইরিয়া জেসমিন অর্পি . কলেজ থেকে ফিরেই পিঠের ব্যাগটা বিছানায় ছুড়ে ফেললো অন্বেষা। তারপর পড়ার টেবিলের কাছে গিয়ে চেয়ার টেনে নিয়ে ধপ করে বসে দুই হাত দিয়ে মাথাটা চেপে ধরলো।প্রচণ্ড মেজাজ খারাপ ওর। আজ ওদের সেমিস্টার ফাইনালের রেজাল্ট দিয়েছে। একদমই ভালো করেনি সে। যদিও শুরু...
পারছেনা -পারছে না
পারছোনা-পারছো না
পারবেওনা -পারবেও না (না শব্দটা সব সময় আলেদা হয়)
কিছুনা -কিছু না
কারন-কারণ
পুরনো-পুরানো
করতাম-করেছি (চলিত ভাষার সাথে আঞ্চলিক করতাম ভাষা মিলে না)
হতো-হত
ছেঁড়ে-ছেড়ে
শুনে-শোনে
লেখক সাহেব গল্প তো খুব ভালো লিখেছে, কিন্তু চলিত আর আঞ্চলিক ভাষা মিশ্রণ ঘটিয়ে গল্পের সুন্দর্য্য নষ্ট করে ফেলেছে।
যাইহোক শুভ কামনা
পারছে না, পারছো না, পারবেও না এগুলো এভাবে স্পেস দিয়ে হবে। দুবেলা না হয়ে দু’বেলা বা দুই বেলা হবে বোধহয়। প্রতিযোগিতার গল্প আরও ধারালো হওয়া উচিৎ ছিল। শুভকামনা আপনার জন্য।
আসসালামু আলাইকুম। গল্প প্রসঙ্গে কিছু কথা :
গল্পটা পড়ে কাঁচা হাতের লেখা বলে মনে হয়েছে আমার। গল্পটা আরও বড় হওয়া উচিত ছিল। এ যেন শুরুর আগেই শেষ। তার মধ্যে ভুলও অনেক। নাম দুটোও পছন্দ হয়নি। আলাদা আলাদা নাম দিলে বেশি ভালো হতো।
না শব্দের সাথে যুক্ত হয়ে বসে না। যেমন –
পারছেনা – পারছে না
পারছোনা – পারছো না
পারবেওনা – পারবেও না
কিছুনা – কিছু না
ছিলনা – ছিল না
পারেনা – পারে না
এতদিন – এতোদিন
কারন – কারণ
দুবেলা – দু’বেলা
কি রহস্য… – কী রহস্য…
দূর্বীষহ এই বানান্টা নিয়ে আমি কনফিউজড।
যাইহোক চেষ্টা চালিয়ে যান। আগামীতে নিশ্চয়ই ভালো হবে। শুভ কামনা।
চমৎকার লিখেছেন।
ভালো লাগলো পড়ে।
প্রতিযোগিতার গল্প এতো ছোট হলে কিভাবে হবে।
বড় গল্প লিখতে হবে।
লেখার হাত আরও ভালো হতে হবে।
বানানে কিছু ভুল আছে।
বানানের প্রতি যত্নশীল হবেন।
শুভ কামনা রইলো।
এতো ছোট গল্প কেনো? বড়জোর ৫০০ শব্দ হবে। অনুগল্প হয়ে গেছে।
যাইহোক, ৪০ বছরের মানুষের সাথে ২৫ বছরের মেয়ের বিয়ে, এমন বিষয় আমাদের সমাজে বর্তমানে খুব কম। আগে ছিলো এগুলো।
বাট, তবে এ জাতীয় কাজ উচিৎ নয়।
যতই সুখে রাখুক, ৪০ বছরের মানুষ একজন স্ত্রীর প্রয়োজন মেটাতে সর্বদা সক্ষম নয়।
গল্প কমপক্ষে ৭০০+ শব্দে লেখার চেষ্টা করবেন।
ভাইরে আমি নিয়মটা তখন বুঝিনি