:শুভ আহমেদ
.
চলে গেছে কবে বৈশাখ জৈষ্ঠ
তবুও আসেনি বর্ষা,
কোথাও জমেনি কালো মেঘ
আকাশ হয়েছে ফর্সা ।
মাঠে মাঠে মরা ফুল দেখে ভাবি ,
আসবে কবে ফাগুন ?
সূর্যের তেজ দেখে মনে হয়
ঝরছে যেন আগুন ।
শত তাপ-চাপ অগ্রাহ্য করে
তারা পাঠশালা যায়,
বাবা-মায়ের মনে সন্তানদের,
স্বপ্নটা শোভা পায়।
সেই স্বপ্নকে বাসচাপা দিয়ে
মাড়িয়ে দেয় যারা,
মানুষ ভাবলে ভুল হবে ভাই
হিংস্র পশু তারা।
কেউবা হারায় সন্তান আবার
কেউবা হারায় ভাই,
হায়রে সমাজ মানবতা কি
মানুষের মাঝে নাই?
সরকার বলে বিরোধীদল দায়ী
বিরোধীদল বলে সরকার,
আপনারা ভাই থামেন এখন
আমাদের নিরাপত্তা দরকার।
একাত্তরে যারা বলেছিল
স্বাধীন হয়েছি আমরা,
তারাই এখন নির্বাক বটে
উড়ে গেছে প্রাণভোমরা।
একুশ শতকের তরুণ সমাজ
দেখেনি একাত্তর,
একাত্তরের চেয়ে আঠারো কম কীসে
আছে কি কোনো উত্তর?
আমরা তরুণ ছাত্রসমাজ
একতাবদ্ধ থাকবই,
পরাজয়ের ভীতি দূরীভূত করে
বিজয়ের ছবি আঁকবই।
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
অসাধারণ একটি কবিতা।
লেখার ধাচ ভালো।
ছন্দে ছন্দে পড়লাম।
বাবা মা সন্তানদের পাঠশালা পড়ার জন্য পাঠায়।
রাস্তাঘাটে নিরাপত্তা নেই।
যদিও আঠারো সাল ছিলো একাত্তরের চেয়ে কম ছিলো না।
দেশে বিশৃঙ্খলা হচ্ছেই।
শুভ কামনা।
হ্যাঁ, বরাবর সব যুদ্ধ আন্দোলন আর সকল ভালো কিছুর মধ্যে এগিয়ে গেছে আমাদের তরুণ সমাজ। প্রয়োজন হলে গায়ের রক্ত দিয়ে হলেও দাবি পূরণ করেছে সবার। কখনও অধিকার আদায়ে পিছিয়ে যায় নি তারা। আর তাই তো তাদেরকে আদর্শ মনে করেই সকলে এগিয়ে চলে। আঠারো বছর বয়সটাই এমন যে তারা যেকোনো কাজে এগিয়ে যায় উৎসাহের সাথে, কোন ভর ডর থাকে না। যা করে দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে করে।
আপনি তো কবিতার মাঝে সুন্দর কথাগুলো তুলে ধরলেন। অনেক ভালো লেগেছে।
শুভ কামনা রইল অনেক।
বাহ্ অসাধারণ লিখেছেন। পড়ে অনেক অনেক ভালো লেগেছে। বেশ করে ছন্দের অনেক মিল আছে আর অন্ত্যমিল তো ঠিক রেখেছেনই। যেগুলোর জন্য কবিতার সুন্দর্য্য বৃদ্ধি পেয়ে গেছে। আর কবিতার টপিকস তো দারুণ বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।তরুণদেরকেই আবার আন্দলনে নামতে হবে রাস্তাঘাটে নিরাপদে চলাচল এর জন্য। এইক্ষেত্রে সবাইকেই সচেতন হতে হবে। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।