Rabbi Hasan
আমি বোবা,
তাই তো পরিবারে পাইনি শোভা।
অবহেলা-অনাদরে কাটাই আমি প্রতিটা দিন,
ভাবিনি কথনো এতো কষ্টে কাটবে দৈন্যন্দিন।
অপরাহ্নে পুকুর পাড়ে একলা বসিয়া ভাবি,
বোবা বলে কি করতে পারবো না, অন্যের কাছে কোনো দাবি।
কেন বোবা বলে সবাই বোঝা ভাবে আমায়,
বোবা হয়ে জন্মেছি এটা কি শুধু আমার দায়?
সমাজ কেনো আমাকে করে এতো অবহেলা,
বোবা হয়েছি,তাই বলে কি সারাজীবন থাকব অবলা?
আমার ও তো স্বপ্ন থাকতে পারে,
থাকতে পারে কিছু বুক ভরা আশা,
আমিও তো পেতে চাই মা-বাবার একটুখানি ভালোবাসা।
আমিও তো নিজের জীবনকে গড়তে পারি নতুন করে,
তবে কেন বাবা-মা লুকিয়ে রাখে আমায় বদ্ধঘরে।
বাবা কেন কথায় কথায় আমায় বলে কপাল পোড়া,
উনি কেন ভুলে যান,আমি তো উনারই রক্তে গড়া।
সুভাকে নিয়ে গদ্য লিখেছেন চিন্তাশীল রবী ঠাকুর,
আমিও খুশি হতাম,যদি আমায় নিয়ে কবিতা লিখতো কোনো এক প্রতিভাধর।
সে কবিতায় কবি ফুটিয়ে তুলতো আমার দূরদশা,
তাহলে বোবাদের মন থেকে মুছে যেত এক বিন্দু হতাশা।
আমি ধন্য হতাম, আমি খুশি হতাম তবে,
কিন্তু হায়,সেই প্রতিভাধর কবি আসবে কবে?
সমাপ্ত
অসাধারণ আর সুন্দর একটি কবিতা। পড়তে ভীষণ ভালো লাগছিল। বোবা- কালা- পঙ্গু এরা কেউই তাদের স্বেচ্ছায় বিকলাঙ্গ বা প্রতিবন্ধী হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। নিতান্তই ভাগ্যের দায়ে আর সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় তাদের এভাবে পৃথিবীতে আসতে হয়। এতে তাদের কোন হাত থাকে না, কোন দোষ থাকে না। তবুও সমাজে পদে পদে তাদের লাঞ্ছিত হতে হয়। তাদেরকে তুচ্ছ করা হয়। আমরা ভুলেই যাই, তারাও মানুষ।
কবিতায় একজন বাক-প্রতিবন্ধী ছেলের মনোঃকষ্টের বর্ণনা আর তার আশার কথা খুব সুন্দর ভাবে ফুটে উঠেছে। আর ছন্দের মিলও খুব সুন্দর ছিল।
বানানে তেমন কোন ভুল নেই।
কথনো- কখনো।
দৈন্যন্দিন- দৈনন্দিন।
গুরুচাণ্ডালী দোষ আছে।
কথনো – কখনো
বোবা বলে কি করতে পারবো না, – বাক্যের শেষে “?” হবে
কিন্তু হায়, – কিন্তু হায়! (“!” চিহ্ন হবে)
কবিতার শেষে সমাপ্তি লিখতে নেই।
ছন্দপতন হয়েছে মাঝে মাঝে।
থিমটা অন্য রকম ছিল।
শুভ কামনা রইল।
গুরুচণ্ডালী দোষ এবং কিছু বানান ভূল ব্যতীত সব ঠিক ছিলো।
অনেক সুন্দর একটি কবিতা।
মনোমুগ্ধকর লেখা।পড়তে পড়তে চোখে জল এসে পড়লো।
কবিতায় বোবাদের ব্যক্ত প্রকাশ করতে না পারার চিত্র ফুটে উঠেছে।সত্যিই আমাদের সমাজে প্রতিবন্ধীদের আলাদা চোখে দেখা হয়।পরিবারের সবাই ভালো মনে করে না।তাদেরও তো কতো কথা থাকে।কতো না বলা ব্যক্ত প্রকাশ করতে পারে না।
তাই আমাদের সবাইকে বুঝতে হবে।
তাদের সাথে ভালো আচরণ করতে হবে।
তাহলে তারা হাসি খুশি থাকতে পারবে।
বানানেও তেমন ভুল নেই।
দৈন্যন্দিন–দৈনন্দিন
দূরদশা–দূর্দশা
কথনো–কখনো
শুভ কামনা।
এগিয়ে যান।লেখার হাত ভালো।একদিন সফলতা আসবে।
ভালো ছিলো,একজন বোবার আত্নকথন।
কোনো মানুষ তো স্বেচ্ছায় প্রতিবন্ধী হয়ে জন্ম নেয়না বরং কারো সেই ক্ষমতা ও নেই। সমাজের এই সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণির প্রতি তথাকথিত সুশীলদের এতো ক্ষোভ কেন, সেটাই তো চোখে আসেনা।
আবেগ নাড়া দেয়ার মতো ভাবানুবাদ ।
তবে,কবিতায় পূর্ণ তৃপ্তি পাইনি।
বানান ভূল + গুরুচণ্ডালী দোষ কবিতার সৌন্দর্য্য কমিয়েছে।
শব্দচয়নে আরও দক্ষ হওয়া প্রয়োজন।
শুভকামনা!