লেখা– এস এ নুঈম খান
.
জানো!
বেশ কিছু দিন হলো,
লিখতে পারছি না কিছুই।
না কবিতা, না ছড়া, না গল্প কিংবা প্রবন্ধ।
তোমাকে নিয়েও লিখতে পারছি না–
গল্প লিখতে পারছি না বলে আফসোস করায়
এক বড় ভাই সেদিন বলেছিলেন–
“লেখক হওয়ার আগে ভালো দেখক হতে হয়,
মানুষকে দেখুন, জীবনকে দেখুন, হৃদয় দিয়ে বুঝুন, কেবল দেখবেন না বুঝতেও চেষ্টা করবেন।”
আজ বুঝতে পারছি, উনি কতটা গভীর কথা বলেছিলেন।
.
জানো!
গভীর রাত অবধি জেগে থাকি
তবুও লিখতে পারি না দু চার কথা।
মাঠের পাশে জঙ্গলে, যে বড় কড়ই গাছটা আছে
তাতে কুঁ, কুঁ, কুঁ স্বরে থেমে থেমে ডেকে যায় পাখিটা,
আমি শুধুই শুনি, বুঝতে পারি না কষ্টটা।
ঝিঁঝিপোকাদের একটানা আর্তনাদ কানে বাজে,
ক্ষণে ক্ষণে আর্তনাদের স্বর বদলায়, কিন্তু কেন?
বুঝতে চেষ্টা করি, তবুও বুঝে উঠতে পারি নাহ্।
কত প্রেম মায়া ছেড়ে, বিশ্বাস ভেঙে দূরে হারায়
কত সহজেই মিথ্যে হয়ে যায় প্রতিজ্ঞা, প্রতিশ্রুতি!
.
জানো!
এসব বিষয় খুব ভাবায় আজকাল আমাকে।
কিন্তু, শুধুই ভাবনার আনাগোনা;
লিখতে পারি না কিছুই, ভাষা দক্ষতায় চমৎকার করে।
আমি আমার চোখের সামনে দেখতে পাই
কুঁড়ে ঘর আর পাঁকা ঘরের বাসিন্দাদের মধ্যকার তফাৎ;
আমি শীতের হাড় কাঁপানো তীব্রতা অনুভব করি
লেপের ওঁম এর নিচে শুয়ে আমি তাদের কথা ভাবি,
কিন্তু বিশ্বাস কর তাদের ভেতরের চাপা
কষ্টটা নিয়ে আমি কবিতা লিখতে পারি নাহ্।
অস্থির হয়ে আমি একের পর এক নির্ঘুম রাত কাটাই
তবুও কিচ্ছু লিখতে পারি না আমি।
যা লিখি সব হাবিজাবি তে পূর্ণ হয়ে যায়,
তাতে না থাকে জীবন দর্শন, না থাকে দূরদর্শন।
আমি নির্মলেন্দু পড়ি, গীতাঞ্জলীও পড়ি
কিন্তু গভীরতা নিয়ে আমি কোনো কিছু
লিখতে পারছি না অনেক দিন যাবৎ।
না গল্প, না কবিতা, না প্রবন্ধ কিংবা নাটক
না, কিচ্ছু না।
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
কবিতাটা সুন্দর। আসলেই কথাটা সত্যি। দু’কলম লিখলেই কেউ লেখক হয়ে যায় না, দুই পাতা পড়লেই কেউ পাঠক হয়ে যায় না। চমৎকার একটা লেখা উপহার দেয়ার জন্য প্রয়োজন দীর্ঘদিনের সাধনা এবং প্রবল উপলব্ধি।
প্রিয়, এটি চমৎকার হলেও পাঠককে মুগ্ধ করতে পারে নি বলে মনে হল। কবিতাটি পড়ে অনেকটা লেখার স্বাদ পেলাম। তবে কবিতার মর্মার্থ অনেক গভীর ও সুন্দর।
অনেক শুভ কামনা রইল।
আসলেই! চমৎকার বলেছেন। ভালো লেখক হওয়ার জন্য প্রয়োজন চর্চা ও প্রচুর সাধনা। পরিশ্রম ছাড়া যেমন কোনোকাজে সফলতা আসে না, তেমনি সাহিত্যেও চর্চা ছাড়া ভালো লেখক হওয়া অসম্ভব। এক কথায় অসাধারণ ছিল কবিতাটি। তবে প্রিয় কবি, আমি কবিতাটি পড়ে কেন যেন কবিতার স্বাদ পেলাম না। পাঠকতৃপ্তিও পেলাম না।
তবে কবিতাটি চমৎকার।অনেক শুভ কামনা আপনাকে।
চমৎকার লিখেছেন।
ভালো লাগলো।
সত্যিই লেখক হতে হলে প্রচুর পড়তে হয়।
সাধনার পরেই অনেক কিছু লেখা যায়।
গীতাঞ্জলী, নির্মলেন্দ পড়লেই লেখা যায় না।
লিখতে হয় নিজের প্রতিভা দিয়ে।
শুভ কামনা রইলো।
কর-করো
কিচ্ছু-কিছু
বাহ্ বেশ চমৎকার লিখেছেন। লেখার মাঝে অনেককিছু ফুটে উঠেছে। যেমন :ভালো লেখক হতে হলে মানুষকে দেখুন, তাদের সুখ কিংবা কষ্ট উপলব্ধি করুন। তবে প্রিয় কবি কবিতা পড়ে কেন জানে কবিতার স্বাদ পেলাম না। যদিও কঠিন শব্দ অনেক প্রয়োগ করেছেন। কিন্তু লেখার ধরণ অন্যরকম হয়ে গেছে। অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।