কবিতা
লেখা: রেবা মণি
নিষ্পাপের রক্তে লাল হবে কেন
বাংলা মায়ের বুক,
কেন খুনি ঘুরে বেড়াবে
প্রকাশ্য দিবালোক!
রক্তের সাগরে স্নান শেষে সেদিন
এনেছিল স্বাধীনতা,
তিরিশ লক্ষ শহীদের দান
যাবে কী তবে বৃথা?
প্রতিনিয়ত লাশের মিছিলে
যোগ হচ্ছে কত,
খালি হচ্ছে মায়ের বুক
চাপা কান্না শত।
জেগে উঠেছে ছাত্র জনতা
রুখবে এবার কে?
বায়ান্নর সালাম রফিকেরা
ফিরে এসেছে।
থামাও এবার লাঠি-বুলেট
অস্ত্রের ক্ষমতা,
দাবি আদায় করে ফিরবে
ছাত্র জনতা।
“উই ওয়ান্ট জাস্টিস”
স্লোগান মুখে মুখে,
অন্যায় অবিচার দেখে এবার
দাঁড়িয়েছে রুখে।
বাহান্ন আবার এসেছে ফিরে
এই আঠারোতে,
আর কোন প্রান যেন
না যায় রাজপথে।
তিরিশ লক্ষ শহীদের রক্তে
ভেজা বাংলার মাটি,
উপড়ে দেব জুলুমবাজের
যত আছে ঘাঁটি।
আইনের চোখে সবাই সমান
নেই কোন ভেদ,
এই যদি হয়, তবেই পাব
স্বাধীনতার স্বাদ।
স্যালুট জানাই শ্রদ্ধাভরে সেসব ছাত্রদের,
কষ্টে যারা ৯টা অধিকার এনে দিচ্ছে মোদের।
এ যেন এক বিদ্রোহী কবিতা
জয় হোক ছাত্রসমাজের।
ভাল হয়েছে। শুভ কামনা 🙂
আপনার বেশ কয়েকটা প্রশ্নবোধক লাইনের সাথে (?) প্রশ্নবোধক চিন্হ নেই ৷ প্রকাশ্য হবে না বরং প্রকাশ্যে , কারণ সর্বনাম যেহেতু পরে দেননি সেজন্য আগে দেয়া লাগবে ৷ লেখার সৌন্দর্যের জন্যে ” তিরিশ ” না লিখে ত্রিশ লিখতে পারতেন ৷ কী এর স্থানে কি হবে ৷ কারণ হ্যাঁ অথবা না বোধন উত্তরের জন্যে কি ব্যবহার হয় ৷ ছাত্র, জনতার মাঝে একটা কমা দিতে হবে ৷ একটা দিলেন বায়ান্ন আরেকটা দিলেন বাহান্ন , এটা ভুল ৷ দিতে চাইলে দুইটাই বাহান্ন দিবেন নইলে দুইটাই বায়ান্ন দিবেন ৷ তাছাড়া সবই মোটামুটি ঠিক আছে তবে জায়গায় ছন্দপতন হয়েছে ৷ আশা করি সামনে থেকে ছন্দ মিলিয়ে লিখবেন ৷ ধন্যবাদ ৷
আমি আপনার প্রতিপক্ষ নই। আপনি যে ভুলগুলো ধরেছেন, ওগুলো মোটেই ভুল নয়। অবশ্য যাচাই করার জন্য বিচারকের আছেন।
ভালো লেগেছে।
রবীন্দ্রনাথের বিদ্রোহী কবিতার মতো ফুটে উঠেছে।
এই আঠারোতে আবার বায়ান্ন এসেছে।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে লিখা কবিতা।
রাজপথে আরও কতো জীবন দিতে হবে।
তবে ছাত্র জনতা পেরেছে তাদের আন্দোলন করতে।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখতে পেরেছে।
তিরিশ–ত্রিশ
বাহান্ন–বায়ান্ন
শুভ কামনা রইলো।
কবিতাটি আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। এক কথায় অসাধারণ। তেমন কোন ভুল আমার নজরে পড়ে নি, তবে বাহান্ন অথবা বায়ান্ন যেকোন একটি লিখলে ভালো হত। প্রান শব্দটি প্রাণ হবে। কবিতাটি খুবই ভালো হয়েছে। শুভ কামনা রইল আপনার জন্য আপু।
সুন্দর হয়েছে
প্রকাশ্য -প্রকাশ্যে
কী-কি(আসলে কি শব্দ ব্যবহার হয় হ্যাঁ কিংবা না ক্ষেত্রে আর কী শব্দ ব্যবহার হয় ব্যাখ্যার করার ক্ষেত্রে উক্ত ঘটনা।
বাহান্ন-বায়ান্ন (যেকোনো একটা দিলে ভালো হতো)
তিরিশ-ত্রিশ (ত্রিশ দিলে আসলে আরেকটু সুন্দর দেখায় কবিতা)
তবে বলতে গেল কবিতাটা বেশ ছিল। এই যেন বিদ্রোহী লেখা। পড়ে ভালোই লেগেছে শুভ কামনা রইল।
রক্ত গরম একটি কবিতা। অসাধারণ।
“নিষ্পাপের রক্তে লাল হবে কেনো বাংলা মায়ের মুখ”
প্রথম লাইনটিতেই কবিতার মধ্যে কবির ভালোবাসার গভীরতা বোঝা যায়।সব সময়েই বাঙালি জাগ্রত জনতা।সেখানে ছাত্রতা মূল ভিত্তি।বায়ান্ন ফিরে এসেছে আঠারোতে।
কিছু কবিতা মনে না থাকলেও অনুভূতি,তেজ মনের কোঠরে বন্ধী থাকে।আশা করি এটাও তার ব্যাতিক্রম হবে না।
অনেক ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ।
বানান তেমন ভুল নেই। তবুও কয়েকটি আছে,
বাহান্ন___ বায়ান্ন (যেহেতু একবার এটাই লিখেছেন।)
প্রান___ প্রাণ
কোন___ কোনো
.
ছন্দ মিল রেখে লিখেছেন বলে ভালোই লাগছিল।
তবে কয়েক জায়গায় ছন্দপতন হয়েছে।
শব্দসম্ভারও বেশ করে যুক্ত করেছেন।
.
নামকরণটা যথার্থ ছিলো।
বর্তমান তথাকথিত বিষয়কে কেন্দ্র করে গড়ে তোলা কবিতাটা বেশ ভালো হয়েছে।
শুভ কামনা থাকলো।