লেখা:
বুনোহাঁস।
আমি কাশ্মীরের ধর্ষিতা আতিফা,
আমি কুমিল্লার তনু,
বারো বছরের সেই কিশোরী,
স্বাধীনতা যুদ্ধে সম্ভ্রম হারানো শতসহস্র মণিফা
আমি স্বঘোষিত ধর্মগুরু রামরহিমের বলি,
ইমামের লালায়িত চক্ষেরপুতলি মাইশা।
আমি বদরুলের রোষানলে পড়া খাদিজা,
আমিই সেই নারী,
যে ধর্ষিতা বিচারের আশে পড়েছিলাম কুনজরে।
আমিই সেই নারী
যার ন্যূনত্ব নেই এ সমাজে
যাকে দেখলে ষস্টিরও ইচ্ছে ধরে।
আমিই সেই নারী
যার নিজের কন্যালাভ করাই ছিল ভুল,
যাকে উদরে ধারণ করেছিলাম
তার জন্য বিচার চাইতে গিয়ে
ফেলে আসতে হয়েছিল মাথার চুল,
যেন সকল চুক আমার একার।
আমিই সেই নারী
নয় কারো কাছে মাথা নুয়াবার।
হায় মানবতা!আজ তুমি কোথায়?
চোখে পড়ে না আমি নারীর আহাজারি?
নাকি,নারী হয়ে জন্মানোই আমার
পাপ?
সুযোগে ঠিকই গা ঢাকা দেয় আমার বাপ,
আমিই সেই নারী
যার দিকে আড়চোখে তাকায় সমাজ,
লোকলজ্জার ভয়ে কাঁদতে হয় বোবাকান্না
কিংবা পড়তে হয় গলায়দড়ি
ধিক্ জানাই,তোমাদের ঐ সমাজব্যবস্থার
যে জায়গায় নারীর মূল্য সস্তা,
আমরা কি,কোনদিন রাখতে পারবোনা তোমাদের পৃষ্ঠে আস্থা?
আহা জীবন!
তুমি কতই না করুণ।
আপনি তো কবিতা লেখায় খুবই পারদর্শী। তা আপনার গত গল্পেই বুঝতে পেরেছিলাম। বেশ ভালো লাগল কবিতাটি। আসলেই মনে প্রশ্ন লাগে আমরা নারী হয়ে জন্মেছি বলেই কি আমাদের বলির পাঠা হতে হবে? সবসময় ত্যাগ স্বীকার করতে হবে? আমরা কি জন্মেছি সমাজে অবহেলিত হওয়ার জন্য? এটাই কি আমাদের অপরাধ? আপনার কবিতাটি সত্যিই মনে নাড়া দেওয়ার মত। কিছু টাইপিং মিস্টেক আছে।
চক্ষেরপুতলি- চক্ষের পুতলি। স্পেস হবে।
চুক- চুল।
নুয়াবার- নোয়াবার।
গলায়দড়ি- গলায় দড়ি।
আলনার গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি!
খুব ভালো লিখেছেন। আপনার কবিতা পড়েই মনে পড়ে গেল, বেগম রোকেয়ার স্পষ্ট বিদ্রোহী কথাগুলো।
আপনার লেখায় টাইপিং মিসটেক আছে। দুইটা শব্দকে একত্র করেছেন। টাইপ করার পর একবার পড়ে নেওয়া উচিত ছিল
হিন্দুরা গরু খায় না,মুসলিমরা শুকুর খায় না।শুধু নারীই সার্বজনীন। 🙂
সুন্দর লিখেছেন।শুভ কামনা।
আপনার মূল্যবান গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি!
আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি!
অসাধারণ লেখনী ‘ শুভকামনা
ধন্যবাদ
অসাধারণ লেখনী। নারীকে নিয়ে কবিতা।
ভালো লাগলো পড়ে।
সত্যিই আজ নারীরা অবহেলিত,নির্যাতিত।
যদিও পুরুষের পাশাপাশি নারীদের সমান অধিকার দিয়েছে তবুও নারীরা স্মানের দিক দিয়ে পিছিয়ে রয়েছে।
ধর্ষণ,খুন মারামারি,নির্যাতন অবিরত চলছে।এসব বন্ধ নেই।নারীদের নেই কোন মূল্য।পুরুষরা গা ঘেষেও অত্যাচার করে।
সত্যিই নারীরা স্বস্তা হয়ে গেলো।
কতো নারীর জীবন দিতে হলো।
নারীরা কতো ত্যাগ স্বীকার করে তবুও সুখ মিলে না
বড়ই খারাপ লাগে।
তনুর মতো নিষ্পাপ মেয়েদদেরও জীবন দিতে হলো।
তবুও বিচার হলো না।
আহা জীবন,সত্যিই করুণ।
বানান ভুল আছে
চুক –চুল
ধিক —-ধিক্কার জানাই
গলায়দড়ি–গলায় দড়ি
ন্যূণত্ব–এটার অর্থ বুঝলাম না?
শুভ কামনা।
ন্যূণত্ব বলতে কোনো মূল্যই নেই বুঝাতে চেয়েছে হয়তো এই সমাজে।
ন্যূনত্ব হবে,
ধিক, ধিক্কার একই অর্থ বহন করে। কবিতার ক্ষেত্রে বোঝা উচিৎ ছিল। ন্যূনত্ব= ন্যূনতমরূপে।
চুক-চুল
ধিক্-ধিক্কার
আর তা ছাড়া দুইশব্দ হয়তো টাইপিং মিসটেকে একসাথে হয়েছে।তবে পড়ে বেশ ভালো লেগেছে। তবে কবিতার শেষে যদি নারীকে বিদ্রোহী করে ফুটে তুলা যেতো আরো ভালো হতো
ধিক, ধিক্কার একই অর্থ প্রকাশ করে। কবিতার ক্ষেত্রে বোঝা উচিৎ ছিল।
বাহ্,চমৎকার।
আমাদের সমাজে রোজ,প্রতি ঘণ্টায় একজন মেয়ে ধর্ষিত হচ্ছে।
মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানিদের দ্বারা ধর্ষিত নারীদের বীরাঙ্গনা উপাধি দেয়া হয়েছে।
আরামাদের সমাজে রোজ ঢলে পড়া নারীর প্রাণটির কোন অধিকার নেই।সেই পিশাচের কোন বিচার নেই।
দিনবদলের দিনেও একজন নারী সুরক্ষিত নয়।এ কেমন সমাজ।
শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ
যার ন্যূনত্ব নেই এ সমাজে যাকে দেখলে ষস্টিরও ইচ্ছে ধরে। ___ ন্যূনত্ব মানে কী? (এ বাক্যটার মানে বুঝলাম না। একটু বুঝিয়ে দিবেন প্লিজ।
.
আমরা কি___ কী
.
পারবোনা ___ পারবো না
.
নামকরণটা যথার্থ।
কনসেপ্টটাও অনেক সুন্দর।
লেখনীও চমৎকার হয়েছে।
.
সমাজের মানুষেরা যদি এভাবে ভাবতো তাহলে হয়তো সমাজে নারী বিদ্বেষী থাকতো না।
আপনি খুব ভালো করে বিষয়টা তুলে ধরেছেন।
.
সবমিলে খুব ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ, ন্যূনত্ব= ন্যূনতমরূপে