নন্দিত নন্দিনি
সেদিনগুলোতে আমার নীলাকাশ কত্ত নিষ্পাপ ছিল।
কত্ত সামান্যতেই জমত অভিমানের মেঘ।
রাতের আধারে জনাকীর্ণ মাঠের নবীন ঘাসে জমত শিশির।
তোমার প্রতিটি আঘাত,প্রতিটিওবহেলা আর অসম্মানের বিষবাষ্পে—
কালো মেঘ জমে জমে একসময়
নামত শ্রাবণের অঝরধারা!
আমার কান্নার নোনাজলে
তুমি আনন্দের চন্দ্রালোক মাতিয়ে ভাসাতে তরী,
বুনো উল্লাসে মেতে উঠতে,
অথচ সেদিন আমিও তোমার সঙ্গী হতাম!
আজ আমি বদলে গেছি।
নষ্ট হয়ে গেছে আমার নীলাকাশ।
সেখানে ক্লান্তির ধুলো আর অভিযোগের বাষ্প মিলে হয়ে গেছে ক্ষোভের মেঘ।
আজ আর অঝরে শ্রাবণধারা নামে না।
কেবলই উঠে সর্বনাশা ঝড়,
যে ঝড়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে যেতে পারে সবকিছু।
কখনওবা নামে ঘৃণার সালফার মিশ্রিত এসিড বৃষ্টি।
যে বৃষ্টি সবুজ ঘাসকে আরও সতেজ না করে পুড়িয়ে দেয়,
একেবারে বিলীন করে দিতে চায় সুন্দর সাজানো বাগানটাকে!
যেখানে উপরে থাকে শুধু বদলে যাওয়া আমার নষ্ট আকাশ।
প্রতিটিওবহেলা – প্রতিটি অবহেলা
চাপা অভিমান কাজ করেছে লেখনীতে।
যেটা পাঠক হৃদয়কে আকৃষ্ট করবে সহজেই।
এগিয়ে যাক আপনার লেখার ধারা।
শুভ কামনা।
কে এম আখলাক, এই ছোট্ট মন্তব্যে যে কত্ত বড় ভুল করেছেন জানেন?
প্রিয় মানুষটার প্রতি কবিতায় কবির চাপা কিন্তু তীব্র অভিমান প্রকাশ পেয়েছে। একটা সময় সব কিছুই তাকে স্পর্শ করতো, প্রকৃতির সৌন্দর্য তাকে আকৃষ্ট করত, কিন্তু এখন আর কোন কিছুই তাকে মুগ্ধ করে না। তার সবকিছুই বদলে গেছে।
খুবই সুন্দর লিখেছেন। উপস্থাপন অত্যন্ত সুন্দর। তবে বানানে বেশ কিছু ভুল আছে।
আধারে- আঁধারে।
ওবহেলা- অবহেলা।
অঝর- অঝোর।
অসাধারণ একটি কবিতা।
চমৎকার লেখনী।কবি তার প্রিয়জনের প্রতি অভিমান ব্যক্ত করেছেন।
সবকিছু সহ্য করা গেলেও প্রিয়জনের অবহেলা সহ্য করা যায় না।অবহেলায় একসময় মানুষ নিষ্ঠুর হয়ে যায়।নির্বাক হয়ে যায়।তার মন আর তখন কাদে না।
প্রিয়জনকে নিয়ে একসময় সবকিছু সুন্দর হলেও সময়ের বিবর্তনে তা ঘৃণায় রুপান্তরিত হয়।
বানানে তেমন ভুল নেই
আধারে–আঁধারে
ওবহেলা–অবহেলা
কখনওবা–কখনও বা
শুভ কামনা রইলো।
লেখার হাত ভালো,পক্ব।
আরো চর্চা প্রয়োজন।
সুন্দর লিখেছেন।
সাবলীল অনুভূতির প্রকাশ ঘটেছে।
শুভকামনা আপনার জন্য। ????