হাফেজ আহমেদ রাশেদ
আমিও হাঁটিনি সেদিন যে আজকের মতো করে,
এক কদমের পরেরটা দিয়েছি বারো হোঁচটের পরে।
পাখি ছানা প্রথম দিনে উড়েনি ডানা মেলে,
শিখেছে উড়াল মায়ের সাথে অল্প অল্প খেলে।
জন্মলগ্ন চাঁদের আলোয় করেনি বাজিমাত,
অল্প অল্প তার পরেতে জ্যোৎস্নাময়ী রাত।
লেখার পূর্বে শিখতে হবে করো সবে পণ,
কলম তবে দৃঢ় হবে করবে না কম্পন।
মায়ের কাছে সর্ব প্রথম অক্ষর শিখেছি সবে,
বলো তার কাছে শিখার পূর্বে লিখতে বসেছি কবে?
বীর্য থেকে ভ্রুণ তা থেকে মানব দণ্ড,
সৃষ্টিলগ্ন থেকেই মানব ধীরতায় খণ্ড খণ্ড।
তুমিও চলবে ধীরে ধীরে অগ্রগতির পথে,
সুষ্ঠু সমাজ সংস্করণে যেও না পাপিষ্ঠ মতে।
অল্পতেই ক্ষুণ্ণ হয়ে ঈর্ষা পুষ না হৃদয় গহ্বরে,
মিত্রকে নয় শুধু, শত্রুকেও ঢেকো ভালোবাসার চাদরে।
একদিনে হয় না সব,হবে ধীরে ধীরে,
চেতনা হারিয়ে কভু যেও না ভ্রান্তদের ভীরে।
সাফল্যের চাবিকাঠি পরিকল্পনা পরিশ্রমের সমন্বয়ে,
সত্য সঠিক সুন্দরতম মনন পুষে চলো নির্ভয়ে।
কবিতায় একটা চরম বাস্তব তুলে ধরেছেন। শুধু মানুষ হয়ে জন্মালেই কি আমরা প্রকৃত মানুষ হয়ে যাই? যদি মানুষের মতো গুণাবলীই গুলো আমাদের মাঝে না থাকে তবে পশুর আর আমাদের মধ্যে পার্থক্য কি! মানুষের মতো মানুষ হওয়ার জন্য আহ্বানই কতো সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন কবিতায়।
অনেক শুভ কামনা কবিকে।
অল্পতেই রাগ করে ঈর্ষা পুষো না হ্নদয়ে,
মিত্রকে নয় শুধু,শত্রুকে ঢেকো ভালোবাসার চাদরে।
কবিতায় এ লাইনটি বেস্ট ছিলো।
অনেক সুন্দর একটি কবিতা।
ভীরে–ভীড়ে
ভীরে-ভিড়ে
বাহ্ দারুণ লিখেছেন। কবিতার মাঝে অনেক উপদেশ দেওয়া হয়েছে মানবের জন্য।
মিত্রকে নয় শুধু , শত্রুকেও ঢেকো ভালোবাসার চাদরে। যার অর্থ হল, শুধু বন্ধুকে নয়, শত্রুকেও ভালোবেসে আগলে রেখো।(নিজের মতে বলেছি বাকিটা কবি জানে)।যাইহোক পড়ে অনেক অনেক ভালো লেগেছে আর অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।