কবিতা:বন্ধ্যা নারী
লেখা:ফৌজিয়া ফাহমিদা অন্তর
বড্ড সাধ ছিল খোকা আমায়
ডাকবে যে মা বলে,
দুধের বাটি শেষ করাবো
নানান রকম ছলে।
আদু আদু মুখে যখন ডাকবে
আমায় মা,
সবচেয়ে বড় ভুলও তখন
পেয়ে যাবে ক্ষমা।
ছোট্ট দু’টি কোমল হাতের
পরশে মেলে শান্তি,
ঘুম না পেলে শুনাবো তারে
ঘুমপারানি গানটি।
খোকা আমার চুপটি করে
শুনে যাবে গান,
বুঝবো আমি ঘুম নয়তো
এ যে ঘুমের ভান।
বলো আমি ও রে দুষ্টু সবই
আমি বুঝি,
তোর বাবার কাছে নালিশ
করবো,
না ঘুমালে আজই।
তারপরও সে বায়না ধরবে,
শুনতে রাজার গল্প।
ঘুমের দেশে পাড়ি দেবে,
শুনে খানিক অল্প।
বায়না ধরবে হরেক রকম
দুষ্টুমিতে সেরা,
ধরা পড়লে অবুঝ হয়ে
সাজবে গুড্ডো বুড়া।
সাধটা শুধু খোকার মুখে
শুনবো যে মা ডাক,
একটুখানি ইচ্ছে করে নিতে
মায়ের সাধ।
কপাল পোড়া এই মায়ের যে,
সব স্বপ্ন মিছে আজ।
বন্ধ্যা নারী যাচ্ছে দেখ,
বলে ওঠে সমাজ।
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
ঘুমপারানি – ঘুমপাড়ানি
বলো আমি ও রে দুষ্টু সবই
আমি বুঝি, – বলব হতে মনে হয়। আর সবই নিচের লাইনে হতো।
তোর বাবার কাছে নালিশ
করবো, – এক লাইনে হতো।
একটি নারীর জীবনের সবচেয়ে বড় চাওয়া একটি সন্তান। সন্তান না থাকলে সমাজ তো পরের কথা নিজের মনেই কোনো শান্তি থাকে না। অনেক সুন্দর ছিলো কবিতাটি।
কবিতাটা প্রথম পড়তে খুবই ভালো লাগছিলো, একে একে সব দৃশ্য, বাচ্চাটির ছলাকলা, দুষ্টুমি সব কিছুই যেনো স্বপ্নের মত ভেসে উঠছিল চোখের সামনে। কিন্তু শেষটুকু পড়তেই মনটা বিষাদগ্রস্ত হয়ে গেল। বিশেষ ককরে শেষ চরণটি পড়তেই। নারী হয়েও মাতৃত্বের স্বাদ না পাওয়া এজন নারীর সবচেয়ে বড় কষ্ট, কিন্তু নিষ্ঠুর সমাজ বন্ধ্যা নারী বলে সেই ঘা’কে ঘুঁচিয়ে কষ্ট দিতেও বিবেকবোধ করে না।
লেখনশৈলী ও ছন্দমিল চমৎকার। নির্ভুল বানান।
অনেক শুভ কামনা।
একজন নারীর জীবনের অনেক বড় পবিত্র এক চাওয়ার নাম সম্ভবত ‘সন্তান’। যাকে এ সমাজ ‘বন্ধ্যা’ বলে তিরস্কার করে, কেবল সে বোঝে এ তিরস্কার কতটা ভয়ঙ্কর। হোক সে বন্ধ্যা, তবুও সে একজন নারী। আল্লাহ্ যেন সবার মনের আশাগুলো পূরন করেন।
অসাধারণ একটি কবিতা।
নারী হয়েও যদি মা হতে না পেরে এর চাইতে কষ্ট মনে হয় আর নেই।
প্রতিটি মেয়েই চায় মা হতে,তার সন্তানকে কোলে নিবে।
দুষ্টুমি করবে।
খেলার ছলে সময় কাটবে।
সত্যিই তো সব নারীরতো সব আশা পূর্ণ হয় না।
বন্ধ্যা হলে কতো কথা শুনতে হয়।
স্বামীর সংসারে থেকেও মনে শান্তি নেই।
বিষণ্নতা কাজ করে।
শুভ কামনা রইলো।
ছোট্ট-ছোট
শুনে-শোনে
বলো-বলবো
তোর বাবার কাছে নালিশ করবো, না ঘুমালে আজই-তোর বাবার কাছে নালিশ করবো না ঘুমালে আজই(লাইন একটা হবে মনে হয়)
ওঠে-উঠে
বাহ্ অসাধারণ লিখেছেন। কবিতার নাম দেখে ভেবেছিলাম সন্তান না হওয়ার জন্য এইরকমই একটা বেদনার প্রতিচ্ছবি হবে। কিন্তু শুরুতে খোকা নিয়ে কি কথা না হলো। দুধ খাওয়াবে ছলে, আবার গল্প শুনাবে ঘুমাতে। কিন্তু শেষের দিকে এসে সব যে তার ভাবনা ছিল বুঝা গেল। আসলে সমাজে বন্ধ্যা নারীকে অনেকেই অশুভ মনে করে। তাদেরও যে একটা মন আছে খেয়াল রাখে না। যাইহোক ভুলের দিকে আগামীতে খেয়াল রাখবেন আশা করি আর অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।