লেখিকা– ফাতেমা আক্তার
পাশের বাড়ির ৭বছরের ছেলে রনি দৌড়ে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো, “আরিশা আন্টি তুমি কি শুনেছো অর্নব আঙ্কেল যে মারা গেছে?”
মৃদু হেসে আরিশা বললো, পচা কথা বলেনা বাবা।
আমি পচা কথা বলছি না আন্টি, সত্যি বলছি।
কি বলছিস এসব? একটু রেগেই প্রশ্নটা করলো আরিশা। কারন,
এত করে বলার পরও আরিশা কিছুতেই বিশ্বাস কারতে পারছে না ওর কথাগুলো। তবে মনে যেন একটু খটকা লাগলো তার। কিছুক্ষণ পর পাশের বাড়ির মিনু খালা এসেও বলতে লাগলেন, ভোর ৪টার দিকে অর্নেবের বুকে প্রচন্ড ব্যথা শুরু হয়। ৬টার দিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, সকাল ৯টার দিকেই সে মারা যায়।
কথাগুলো শুনেই কান্নায় ভেঙে পড়ে আরিশা। পাশের রুমে ছিলো ছোট বোন আর মা। কান্নার শব্দ পেয়ে ছুটে আসে তারা। মিনু খালার কাছে সব শুনে তারাও কাঁদতে শুরু করে। খবর পেয়ে পাড়াপ্রতিবেশিরাও জড়ো হতে থাকে তাদের বড়িতে। সবাই কিছু না কিছু সান্ত্বনা দেয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু কিছুতেই যেন সান্ত্বনা খুঁজে পায়না
তারা।
ঘন্টাখানেক পর অর্ণবের লাশ নিয়ে ফিরে আসে তার আত্মীয়স্বজন তাদের বাড়িত। সেখানেও তার লাশ দেখার জন্য ভীড় জমতে থাকে অনেক লোকের। তখন আরিশাও শেষবারের মতো দেখতে চায় অর্ণবের মরা মুখটা। কিন্তু তাতে সম্মতি জানালোনা কেউ। কারণ,
অর্নব ছিলো তার স্বামী। গত ২ বছর আগেই ডিভোর্স হয়ে যায় তাদের।
পাশের গ্রামেরই ছেলে অর্নব। বয়সে আরিশার চেয়ে ৭ বছরের ছোট ছিলো । তবুও একদিন সে প্রেমের প্রস্তাব দেয় আরিশাকে। কারণ, আরিশা ছিলো খুবই সুন্দরী। তার রুপের আগুনে ঝলসে গিয়েছিলো অর্ণবের বিবেকবোধটা। তবে আরিশা কিছুতেই মেনে নিতে চায়নি তার প্রস্তাব। কিন্তু অর্নব পিছু ছাড়লো না তার। তাই দীর্ঘ ৩ বছর পর হার মেনে যায় আরিশা। শুরু হয় তাদের প্রেম। দিনে রাতে যখনই সুযোগ হয়, দেখা করে তারা একে অপরের সাথে। তারপর মাত্র কয়েক মাস পরই অন্তঃসত্ত্বা হয় আরিশা। বিষয়টা অর্ণবকে জানালে, নিজের সন্তান বলে পুরোপুরি অস্বীকার করে সে। তার এহেন নিষ্ঠুর আচরণে ভীষণ ভেঙে পড়ে আরিশা। সম্মানহানিতার ভয় তাড়া করতে থাকে তাকে সারাক্ষণ। কাঁদে শুধু নীরবে, নিভৃতে সবার আড়ালে!
কিছুদিনের মধ্যেই তা প্রকাশ পেয়ে যায় তার পরিবারের মাঝেও। সীমাহীন লাঞ্চনার স্বীকার হতে হয় তখন সেখানে তাকে! অপমান, অপবাদের লজ্জা থেকে বাঁচতে আরিশার মা অর্ণবকে ডেকে এনে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু তাতে রাজি হয় না সে। এমনকি আরিশার সাথে সব রকম যোগাযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তারপর বাধ্য হয়ে বিষয়টা তার পরিবারের কাছে জানালে, তারাও মেনে নেয়নি তা কিছুতেই।
ইতিমধ্যে ঘটনাটা ছড়িয়ে পড়ে দুপক্ষেরই আত্মীয়, অনাত্মীয়, কিংবা প্রতিবেশিদের মাঝে। শুরু হয় নানা গুঞ্জন। চরম অপমানের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে তখন আরিশার পরিবার। অপমানের লজ্জায় ঘর থেকে বের হবার উপায়টুকুও যেন হারাতে বসেছে ওরা। কোন উপায়ান্তর খুঁজে না পেয়ে, প্রতিবেশীদের কাছেই হাত জোর করে অনুরোধ করেন, বিষয়টার সুষ্ঠু মিমাংসা করে দেয়ার জন্য আরিশার মা। কিন্তু তাতেও ব্যর্থ হন তিনি। কারণ,
অর্নবদের পারিবারিক প্রভাব প্রতিপত্তির শক্তির বলে, তাদের বিরুদ্ধে যাবার সাহস করতে রাজি হয়নি কেউ। এদিকে একটু একটু করে বেড়ে উঠছে আরিশার গর্ভের সন্তান। তার সাথে বাড়ছে তাদের পরিবারের দুশ্চিন্তা। তারপর ৬ মাস পর,
হঠাৎ আরিশাকে ফোন করে অর্নব। অনুরোধ করে, তার সাথে লুকিয়ে দেখা করার জন্য। ঘন মেঘের আড়াল থেকে যেন এক ঝলক চাঁদের আলো এসে পড়লো, আরিশার মন আকাশে তখন। তবুও রেগে কলটা কেটে দেয় সে। তারপর আরো অনেকবার কল আসলেও রিসিভ করে না সে। পরদিন সকালে তার মাকে জানালে, সব শুনে একটু যেন আশার আলো দেখতে পান তিনিও। তাই সাথে সাথেই বিষয়টা কয়েকজন নিকটস্থ আত্মীয়ের কাছে জানান তিনি। তখন তারা বলেন, যদি আবার অর্নব ফোন করে তবে যেন তাকে বাড়িতে আসতে বলে দেয় সে। তারপর যা করার তারাই করবেন বলে আশ্বাস দেন তাকে। তাই তিনি তাদের কথামতোই পরামর্শ দেন মেয়েকে।
পরদিন রাতে অর্নব আবার ফোন করে আরিশাকে একই অনুরোধ করে। তখন আরিশা তাকে বাড়ি আসতে বললে, তাতে সম্মতি জানায় সে। কিছুক্ষণ পর সে বাড়ি এলে, তাকে আরিশার রুমে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। আর তখনই তাদের সেই আত্মীয়দের খবর দেন তার মা। কিছুক্ষণ পর তারা এসে আরিশার রুমের দরজায় নক করতেই, তা খুলে দেয় আরিশা। ধরা পড়ে যায় অর্নব সবার কাছে। সবাই মিলে তখন আরিশাকে বিয়ে করার অনুরোধ করে তাকে। কিন্তু তাতে ঘোর আপত্তি জানায় সে। তাই সে রাতেই কাজি ডেকে এনে জোর করে বিয়ে দেয় তাদের। তারপর থেকে শ্বশুড়বাড়িতেই থাকতে হয় অর্ণবকে। কারণ, তার পরিবার কোন ভাবেই মেনে নেয়নি এ বিয়েটাকে।
কয়েকমাস পর এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম দেয় আরিশা। ভীষণ খুশী হয় সবাই, শুধুমাত্র অর্নব আর তার পরিবার ছাড়া। নিজের সন্তানের মুখটাও দেখতে চায়নি একবার সে। তার এমনি নিষ্ঠুরতার সাথে আগে থেকেই পরিচিত ছিলো আরিশা। তাই শত কষ্ট বুকে নিয়েও সে কোনো অনুরোধ করেনি তাকে। কেঁদেছে কেবল নীরবে নিরন্তর! অর্ণবের এমনিই নিদারুণ অবহেলা আর অবজ্ঞায় কেটে গলো তাদের আরো দুটো বছর। এর মধ্যে ভুল করেও সন্তানকে কোলে তুলে নেয়নি কোনদিন সে। শুধুমাত্র নিজের প্রয়োজনেই আরিশাকে ব্যাবহার করেছে সে দিনে রাতে। ‘বাবা’ শব্দটা হয়ত বারবার ঐ নিষ্পাপ শিশুটির মুখ ফুটে বেরিয়ে এসেছিলো, কিন্তু বাবার কোলে বসে বাবা ডাকার সুখটুকু পাওয়ার সুযোগ সে পায়নি কোনদিনই! তারপর,
আবার সন্তান সম্ভাবা হয় আরিশা। জানতে পেরে অর্নব হঠাৎ করেই সম্পূর্ণ বদলে ফেলে নিজেকে। হৃদয়ের সবটুকু ভালোবাসা শুধুমাত্র তার স্ত্রীকেই উজাড় করে দিতে ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়ে সে, সন্তানকে নয়। তবুও ধীরে ধীরে স্ত্রীর কাছে হয়ে উঠে সে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ স্বামী। স্ত্রীর বিশ্বাসের সবটুকু জায়গা চলে আসে তার দখলে। তারপর একদিন সন্ধ্যায় সে তার স্ত্রীকে বলে,
এখন পর্যন্ত নিজের ব্যবসাটাই দাঁড় করাতে পারলাম না, এরই মধ্যে পৃথিবীতে আসছে আমাদের আরেক সন্তান। এ সন্তান আমি চাই না। তুমি যেকরেই হোক বাচ্চাটাকে নষ্ট করে দাও। কথাগুলো শুনে স্তব্ধ হয়ে যায় আরিশা। কী বলবে কিছুই বুঝতে পারছিলো না সে। অঝোর ধারায় কাঁদতে থাকে সে! খানিকক্ষণ পর তাকে অনেকটা বিনয়ের সুরে বুঝানোর চেষ্টা করে খুব। কিন্তু কিছুতেই মতের বদল হলো না তার। আর বললো, এখনই তোমাকে নিয়ে ডঃ এর কাছে যাবো আমি, তুমি তৈরি হয়ে নাও। তীব্র প্রতিবাদ জানায় আরিশা তার এ কথার। তখন সে বলে, আমার অনিচ্ছা সত্বেও যদি এ সন্তানকে তুমি পৃথিবীতে আনো, তবে আমাকে হারাবে চিরদিনের মতো। আবারও হার মেনে যায় আরিশা তার কাছে! সে রাতেই ডঃ এর কাছে গিয়ে তার গর্ভের সন্তানকে গর্ভেই নিঃশেষ করে দেয়! তারপর ফিরে আসার মাঝপথে এসে অর্নব বলে,” বাকী পথটা তোমাকে একাই যেতে হবে। একটা জরুরি কাজ সেরে একটু পর আসছি আমি।”
কথাগুলো বলেই উল্টো পথে চলে যায় সে। বাড়ি ফিরে আসে আরিশা একা। তারপর শুরু হয় তার অপেক্ষার পর্ব স্বামীর জন্য। আর তা চলতে থাকে দীর্ঘ ৭ বছর।
এতটা দীর্ঘ সময় পরও সে ফিরে আসেনি তার স্ত্রীর কাছে। এসেছিলো তার নিজ বাড়িতে। আর এ সময়টার মধ্যে সে কোথায় ছিলো, কেমন ছিলো কিছুই জানতে পারেনি আরিশা।
ফিরে এসেই ডিভোর্স দেয় আরিশাকে। শোকে যেন পাথর হয়ে গিয়েছিলো সে। কোন প্রতিবাদ জানায়নি অর্ণবের এমন কঠিন আচরণেও ।
গত ১ বছর আগে অর্নব তার পরিবারের পছন্দের পাত্রীকে বিয়ে করে ঘরে তুলে আনে।
নতুন বউ, নতুন সংসার, নতুন অনুভুতির মাঝেই মত্ত থাকতো সারাক্ষণ। অন্যদিকে আরিশাকে ঘিরে থাকতো সব সময় শুধু কষ্ট, যন্ত্রণা নামক অনুভুতিগুলো।
কয়েক মাস পরই গর্ভবতী হয় অর্ণবের দ্বিতীয় স্ত্রী। জানতে পেরে বর্ণীল স্বপ্নের স্রোতে ভেসে যায় তার মন। বন্ধুজনের কাছে বলে, “নিজের মোটরসাইকেলে সেই সন্তানকে বসিয়ে ঘুরে বেড়াবে সে দূরদূরান্তে।” বাতাসে ভেসে আসে সে স্বপ্ন আরিশার কানে। ক্ষতবিক্ষত হয় তার বুক! বাবা হারা এতিম সন্তানকে বুকে নিয়ে, অবিরাম শুধু কাঁদে আর দু’হাত তুলে বিধাতাকে বলে,
” সন্তানের বাবা হয়েও যে মানুষটা ‘বাবা’ ডাকার অধিকারটুকু দেয়নি আমার সন্তানকে কোনদিন, তার কাছ থেকে ‘বাবা’ ডাক শুনার অধিকারটাও চিরদিনের মতো কেড়ে নিও তুমি।”
আরিশার ক্ষতবিক্ষত হৃদয়ের হাহাকারে সেদিন বিধাতার আরশটা কেঁপে উঠেছিলো কিনা জানিনা, তবে তার সে হাত ফিরিয়ে দিতে পারেননি বিধাতা! অর্নব যখন মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছিলো হাসপাতালে, প্রসব বেদনায় কাতড়াচ্ছিলো তখন তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিজ বাড়িতে। অর্ণবের লাশ আনার আধঘণ্টা আগে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানে জন্ম দেয় এক পুত্র সন্তান। সে সন্তানের মুখটাও দেখে যেতে পারেনি অর্নব! এ যেন বিধাতার এক কঠিন প্রতিশোধ!
এদিকে অর্নবের মরা মুখটা শেষবারের মতোও একবার দেখতে না পেয়ে আরো বেশী কাতর হয়ে পড়ে আরিশা! অজ্ঞান হয়ে যায় সে। খানিকক্ষণ পর জ্ঞান ফিরে এলে কাঁদতে কাঁদতে বলে,
“গত রাত তিনটার দিকে অর্নব ফোন করেছিলো অনেকবার আমাকে। ইচ্ছে করছিলো না ফোনটা ধরতে কিছুতেই, তবুও জানিনা কেন যেন পারলাম না শেষ পর্যন্ত না ধরে। ফোনটা ধরতেই, কাঁদো কাঁদো স্বরে ও বলছিলো—-
‘আমাকে তুমি ক্ষমা করে দিও। জীবনে কষ্ট ছারাতো কিছুই দিতে পারিনি তোমায়। তবে আর কোন কষ্ট দিতে চাই না, পারবো না দিতে। নতুন করে বিয়ে করে ঘরে তুলে আনবো তোমায়। আমাকে তুমি ফিরিয়ে দিও না প্লীজ। মেয়েটার জন্যও কষ্ট হচ্ছে খুব! শেষবারের মতো শুধুমাত্র আর একবার বিশ্বাস করো আমায়। প্লীজ!’
কথাগুলো আমায় বলে খুব করে কাঁদছিলো সে। আমিতো চেয়েছিলাম শেষবারের মতো বিশ্বাস করতে ওকে, শুধুমাত্র আমার অসহায় মেয়েটার জন্য। তাহলে কেন এমন হলো? আমার হতভাগী মেয়েটার ভাগ্যে যে বাবার স্বীকৃতিটাও জুটেও জুটলো না আর!”
তখনও উঠোনে বসে খেলা করছিলো তার অবুঝ মেয়েটি। বুঝতেই পারলো না, এক বুক যন্ত্রণা নিয়ে চিরতরে হারিয়ে গেলো পৃথিবী থেকে তার অপরাধী বাবা!
প্রতিটা গল্প কারো না কারো জীবন কাহি, খুব ভালো লাগলো আপনার গল্পটি। গল্পতে উপস্থাপনাটা বেশ ভালোই ছিল, তবে আরও একটু যন্তশিল হলে খুব ভালো হতো গল্পটা। এসেছিলো- এসেছিল, করছিলো-করছিল, পারছিলো-পারছিল এই ভাবে হবে। মতো, কতো, যতো, ততো এই শব্দ গুলো এই ভাবে হবে মত, কত, যত, তত।
ভালো লেগেছে গল্পটি শুভ কামনা আপনার জন্য।
বলেনা-বলে না(না যেহেতু শব্দ তাই আলাদা বসবে)
কারন-কারণ
শুনেই-শোনেই(যেহেতু চলিত শুদ্ধ ভাষা ব্যবহার হয়েছে ঘটনা উল্লেখ করতে)
শুনে-শোনে
পাড়াপ্রতিবেশিরাও-পাড়া প্রতিবেশিরাও
বড়িতে-বাড়িতে
পায়না-পায় না
ভীড়-ভিড়
রুপের-রূপের
শুনে-শোনে
গলো-গেল
কোনদিন-কোনোদিন
ব্যাবহার -ব্যবহার
হয়ত-হয়তো
ঐ -ওই
যেকরেই-যে করেই(কিংবা যেভাবে)
শুনে -শোনে
কোনদিন-কোনোদিন
কিনা-কী না
জানিনা-জানি না
ছারাতো-ছাড়া তো
কোন-কোনো
আমিতো-আমি তো
বেশ ভালো ছিল। তবে স্ত্রী কীভাবে পারে একজন স্বামীকে বিধাতার কাছে এইরকম শাস্তির কথা বলতে।তবে কিছু পুরুষ নারীকে নিজের প্রয়োজন ছাড়া অন্যকিছু বুঝে না। প্রয়োজন শেষ তো ছেড়ে দেয়। যাইহোক বানানে ভুলের মান বেশি। আগামীতে বানানে প্রতি খেয়াল রাখবেন আশা করি, শুভ কামনা রইল।
অসাধারণ লিখেছেন।
হ্নদয়স্পর্শী গল্প।
শেষটা খুব ভালো লেগেছে।
সত্যিই অর্নবের মতো কিছু ছেলের জন্য আড়িশার মতো ভালো মেয়েদের জীবন নষ্ট হয়।
একের পর এক আড়িশাকে কষ্ট দিয়েছে অর্নব।
আল্লাহ হয়তো সহ্য করেনি।
তাই তার দ্বিতীয় স্ত্রীর মেয়েকেও দেখে যেতে পারলো না।
এ যেনো বিধাতার কঠিক প্রতিশোধ।
ছারাতো–ছাড়াতো
গলো-গেল
ব্যাবহার–ব্যবহার
পাড়াপ্রতিবেশি-পাড়া প্রতিবেশী
খুশী–খুশি
শুভ কামনা রইলো।
কিছু কিছু গল্প শুধু গল্পই হয় না, কারও জীবনের বাস্তবকাহিনীও হয়। এই গল্পটি পড়েও ঠিক সেরকমই মনে হয়েছে। এমন অনেক যুবক যুবতীই উঠন্ত বয়সে ভুলবশত অনেক সিদ্ধান্তই নিয়ে ফেলে তেমনি আরিশা ও অর্ণবের হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়াটাও তেমন ব্যাপার ছিল। অর্ণব এতোবড় দায়িত্ব কাঁধে নিয়েও তা পূরণ করতে পারে নি। আরিশার প্রথম সন্তানটি ভূমিষ্ঠ হয়েও পিতৃপরিচয় পেলো না এর চেয়ে মর্মান্তিক আর কিছুই হয় না। দ্বিতীয় সন্তানটি পৃথিবীর আলো দেখতে পেল না। অবশেষে অর্ণবকেও ছাড়তে হলো পৃথিবী।
আসলে পাপ বাপকেও ছাড়ে না। দুইটা নিষ্পাপ শিশুকে অস্বীকৃতি ও একটি মেয়েকে অবহেলার ফলেই তার শাস্তি সে পেয়েছে।
সুন্দর হয়েছে গল্পটা। তবে অতো মুগ্ধ হতে পারি নি।
বানানে কিছু ভুল ছিল প্রিয়।
পচা- পঁচা।
কারন- কারণ।
অর্নেবের- অর্নবের।
বাড়িত- বাড়িতে।
শুভ কামনা অজস্র।