Nawmitashupti
ছোট একটি ঘরে জন্ম হয়েছিল আমার
খুশি না হয়ে সবাই হয়েছিল বেজার।
একমাত্র মা আমাকে আগলে রেখেছিল।
ভালবাসা আর আদরে জরিয়ে বড় করেছিল।
মেয়ে হওয়াতে পাইনি বাবার আদর।
দূর দূর করে তাড়িয়ে দিতো আমায়।
জানতে পারলাম”এ বাড়িতে নাকি বেশি ছিল ছেলের কদর।”
আবারও ঘর জুড়ে খুশির জোয়ার।
জানতে পারলাম ভাই আসবে আমার।
আমায় আদর থেকে দূরে ঠেলে দিলো মা,
এখন আমাকে ফুল বলে কেউ ডাকে না।
নিরবে বসে একা একা কাঁদতাম।
কেন জন্মদিল সেটাই রাত জেগে ভাবতাম!
একদিন বাবা আসলো কাছে
খুশিতে আমি আত্নহারা,বাবার আদর পেয়ে।
বুঝতে পারি নি আমি যে কতটা বোকা মেয়ে!
ক্রেতা বিক্রেতার দাম চলছে কষাকষি।
দাম উঠল পাঁচহাজারের চেয়েও বেশি।
বিক্রেতা ছিল বাবা, ক্রেতা ছিল এক পতিতা আর পন্য ছিলাম আমি।
চোখ ছলছল করছিল,মাকে ছেড়ে যাব ভাবি নি কখনো।
আমাকে নিয়ে গেল চারদেয়ালের একটি ঘরে,
সাজাতে এল এক নারী ঝলমলে শাড়ী পরে।
আমাকে লাল শাড়ী,গহনা পরিয়ে সাজিয়ে দিল পরী।
হঠাৎ শহুরে বাবু হাজির,নেশাগ্রস্ত হয়ে ঝাপিয়ে পড়ল আমার উপর।
কত চিৎকার, কত চেঁচামেচি করেছি পাইনি কোনো নিস্তার!
আজ আমি পতিতালয়ের সব পুরুষের মন হরনকারী।
সমাজের চোখে অভিশপ্ত এক নারী!
জরিয়ে-জড়িয়ে
জন্মদিল- জন্ম দিল
এটা তো কবিতা।বাবা পতিতার কাছে বেঁচে দিলো ব্যাপারটা ভাল লাগেনি।শুভ কামনা।
অসাধারণ লিখছেন।ভালো লাগলো।
কিছু কিছু বাবা মা আছে টাকার জন্য নিজের মেয়েকে দিয়ে খারাপ কাজ করায়।বাবা হয়ে কিভাবে পারে এমন কাজ করতে।ভাবতে খারাপ লাগে।
পরিবারের প্রভাব সন্তানের উপর পড়ে।
যদিও মোহসিনা আপু গল্পের লিস্টে রাখছে।
তবে পড়ে মনে হলো এটা কবিতা।
বানানে ও কোনো ভুল হয়নি।
জরিয়ে–জড়িয়ে
শুভ কামনা রইলো।
কবিতা কেন অণুগল্পের ফর্মে চলে গেল বুঝলাম না। তবে বেশ ভালো হয়েছে কবিতাটি। বাস্তবতা ফুটে উঠেছে।এখনো অনেক পরিবার আছে যারা মেয়েদেরকে জঞ্জাল বলে মনে করে, তাই তারা এর থেকে নিস্তার পাবার জন্য সবচেয়ে নিচুতে নামতেও দ্বিধাবোধ করে না। বাবা হয়েও তারা মেয়েকে বিলিয়ে দেয় অন্যের কাছে শুধু কিছু অর্থের জন্য। এমনকি মায়েরাও তাতে সম্মতি দেয়। কবিতাটি সুন্দর হয়েছে তবে বানানে কিছু ভুল আছে।
জরিয়ে- জড়িয়ে।
জন্মদিল- জন্ম দিল।
পন্য- পণ্য।
ঝাপিয়ে- ঝাঁপিয়ে।
খুবই ভালো লিখেছেন।তবে এটাকে গল্প মনে হলোনা।তবে এটা বিচারকরা ভালে জানেনা।শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
লেখিকার সাথে একমত হতে পারলাম না। আদৌ কি বর্তমানে বাবা তার মেয়েকে বিক্রি করে পতিতালয়ে? প্রশ্ন রইল
অনবদ্য লিখনি তবে শেষে অন্য দিক দিলে আরো ভাল হত।
কিছু বানান/টাইপিং ভুলঃ
জরিয়ে=জড়িয়ে
আত্নহারা=আত্মহারা
পন্য=পণ্য
হরনকারী=হরণকারিনী
শুভ কামনা রইলো।
পারি নি___ পারিনি
অাত্নহারা___ অাত্মহারা
ভাবি নি____ ভাবিনি
শাড়ী____ শাড়ি
হরনকারী____ হরণকারী
ঝাপিয়ে___ ঝাঁপিয়ে
.
টপিকটা ঠিক কেমন জানি!
মেয়েরা অবহেলিত এই বিষয়টা ঠিক অাছে, তাই বলে তাকে পতিতালয়ে বিক্রি করে দিবে! এমন তো কখনও শুনিনি।
.
কবিতাটা গল্পের লিংকে দেখে প্রথমে ঘাবড়ে গিয়েছিলাম। এখন ঠিক আছে। যাইহোক, বিষয়বস্তু সম্পর্কে অারেকটু ভাবা প্রয়োজন ছিলো বলে মনে করি। শুভ কামনা।
জরিয়ে-জড়িয়ে
জন্মদিন-জন্ম দিল
পারি নি–পারিনি
পন্য- পণ্য
ভাবি নি-ভাবিনি
শাড়ী-শাড়ি
পরে-পড়ে
ঝাপিয়ে-ঝাঁপিয়ে
হরনকারী-হরণকারী
আমি যে সমাজের চোখে অভিশাপ্ত এক নারী। শেষের লাইনটা এইভাবে লিখলে ভালো হতো। তবে বেশ ভালো ছিল, শুভ কামনা
যে নারী জাতির জন্যে আমরা পৃথিবীতে আসি,তাদের এই দুঃখ কষ্টের সমারোহ পৃথিবীর নির্মম পরিহাস।একজন বাবা এতোটা নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারে?বাবারা মেয়েদের মা হিসেবে সম্মান,ভালোবাসা দেয়।
একটিবারো মনে হলোনা আমার মাকে আমি?
আমাদের মতো কিছু নিষ্ঠুর নির্বোধ প্রাণীর জন্যেই নারীরা অভিশপ্ত হয়ে উঠে।কিন্তু ইসলামে নারীদের সর্বোচ্চ স্থান দেয়া হয়েছে।
অনেক ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ