লেখা:- ইসরাত তাবাসসুম।
আযানের ধ্বনিতে ঘুম ভাঙ্গে সবার,
নামাজের মধ্যদিয়ে শুরু করে নতুন
প্রহর।
পাখিদের কিচিরমিচির ডাকে,
মোরগের কুক্কুরু কুক্কুরু শব্দে,
ঘুমন্ত ব্যক্তিদের উঠার জন্য ডেকে যায় তারা বেলা অব্দে।
শিশিরের টুপটাপ শব্দে,
আস্তে আস্তে সকাল টা হয় নিস্তব্ধে।
সূর্যের আলোয় আলোকিত হয় পুরো পৃথিবীময়,
সারাদিন যেন ভালো কাটে তার জন্য প্রার্থনা করা হয় সবসময়।
‘চা’ দিয়ে শুরু হয় নাস্তা খাওয়া,
জীবিকার তাগিদে বেরিয়ে পড়ে যে যার কর্মস্থলে যাওয়া।
কৃষাণ-কৃষাণীরা শুরু করে দেয় তাদের কাজ,
দিনভর করে যায় তারা হাল চাষ।
দুইবেলা দুমুঠো খাওয়ার জন্য অসহায় মানুষ গুলা বেরিয়ে পড়ে সবার ধারেধারে,
সারাদিন ঘোরার পরও হইতো একটা দানাও জোটেনা তাদের সবার মুখে।
কাজ শেষে বাড়ি ফিরে কর্মস্থলের মানুষেরা,
হাসি আড্ডায় মেতে উঠে তাদের ছেলে মেয়েরা।
এক মুঠো ভাতের আশায় যার কাটে সারাদিন,
না খাওয়ার কষ্টে তার রাতটা কাটে যায় দু’চোখ বরা কান্না জলে ঘুমহীন।
অন্ধকারাচ্ছন্ন হয়ে যায় যখন পুরো রাতটা,
নতুন দিনের আশায় যে যার মতো চলে যায় ঘুমের দেশটাই।
আবার শুরু হবে নতুন সকাল,
যে যার মতো কেটে দিবে সবার দিনকাল।
নির্বাক_পাখি
হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। আবারো, তোমার অস্ত্রের মধ্য দিয়ে, রক্তে রঞ্জিত করে দাও, এই শুভ্র ময়দান। হে কবি, শক্ত করে ধরো, তোমার অস্ত্র। যেভাবে, কবি নজরুল ধরেছিল, ইংরেজদের বিরুদ্ধে। যেভাবে, কবি সুকান্ত চেয়েছিল, ...
কি নিষ্ঠুর তাদের মুখের চাহনি, আমাদের উচিত এসব মানুষের পাশে দাঁড়ানো।।
দুমুঠো- দু’মুঠো
দেশটাই- দেশটায়
মধ্যদিয়ে-মধ্য দিয়ে
ভাল হয়েছে। 🙂
অসাধারণ কবিতা। পড়ে ভালো লাগলো।
শব্দগুচ্ছও ভালো ছিলো।
আযানের শব্দে ঘুম ভাঙ্গাটা সত্যিই সবার ভাগ্যে হয় না।
একমাত্র কষক-কৃষানীরাই পারে। সকালে কাজের জন্য তাড়াতাড়ি বের হতে হয়।
আর এ সকালটা সত্যিই অনেক সুন্দর। পাখির কিচিরমিচির শব্দ।
এভাবেই চলে যায় সময়।
তবুও নতুন দিনের প্রত্যাশায় মানুষের আবারও চলা।
দিন যায় রাত আসে।
দুমুঠো -দু’মুঠো
ঘোরার–ঘুরার
হইতো–হয়তো
বরা —ভরা
মধ্যদিয়ে–মধ্য দিয়ে
শুভ কামনা রইলো।
খুবই সুন্দর একটি কবিতা। যারা আমাদের জন্য অন্ন জোগায় তারাই এক মুঠো খাবারের জন্য অনাহারে দিন পার করে।আর আমরা কিনা তাদেরই তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করি! তাদের কষ্ট তাদের করুণ চাহনিতেই বুঝা যায়। সকালে আযানের শব্ধে ঘুম থেকে উঠেই তারা আমাদের মুখে অন্ন জোগাড়ের জন্য কাজে লেগে যায়। খুব সুন্দর কবিতা,ছন্দের মিলও ভালো। বানানে কিছু ভুল রয়েছে। ঠিক করে দিচ্ছি।
দুমুঠো- দু’মুঠো।
মানুষগুলা- মানুষগুলো।
হইতো- হয়তো।
দু’চোখ বরা- ভরা।
দেশটাই- দেশটায়।
কবিতাটা বেশ ছিল, ছন্দে ছন্দে অনেক মিল। আর ভুল অনেকে বলে দিয়েছে দেখলাম তাই আর বলছি না। তবে পড়ে ভালোই লেগেছে, শুভ কামনা রইল আপনার জন্য
বানানে নজর দিবেন, যত্ন নিবেন লেখার প্রতি, ভালো হয়েছে, শুভকামনা
একটি নতুন দিনের অপেক্ষা করে পৃথিবীর মানুষগুলো নিজের ভুল ত্রুটি সংশোধনের জন্য।
এখানে কবিতার নতুন দিনটি শুরু হয় আযানের ধ্বনির মাধ্যমে।
যেটা খুব ভালো লাগার মতো।এর পাশে গরিব, দুঃখী মানুষের কথা বলা হয়েছে।হয়েছে দিনশেষে একটি নতুন দিনের অপেক্ষারত মানুষের কথা।
ভালো লাগার মতো একটা কবিতা।