মোহাম্মদ আবিদুর রহমান খান
যখন শিশির চুমে তৃণ পল্লবে
গোধূলির আলো ছুঁয়ে যায় আঙিনা,
চাঁদের আলো সুখ দেয় পথহারা পথিকে
শুকতারা শোনায় নীরব কবিতা।
তোমার স্মৃতি তব কড়া নাড়ে মোর দুয়ারে
ভুলিতে চাহিয়াও ভুলিতে পারি না তোমারে।
নিজেরে বেঁধেছিলাম আমি মিছে মায়ায়,
আশায় আশায় বুক বেঁধেছিলাম দুর্বল মরীচিকায়,
আজও তোমারে খুঁজে ফিরি আলোছায়ায়
পারি না তোমারে ছুঁতে এক লহমায়।
আজও শুনিতে পাই আমি তোমার কণ্ঠস্বর
ভাবিয়া পাই না তবু কী হবে এরপর।
ক্ষমা করো মোরে প্রিয়া যদি করি কোন ভুল
হৃদয়ের বহ্নিজ্বালায় দিচ্ছি তার মাশুল।
ঝরে গেছে মোর আশার সব মুকুল
পথহারা নাবিক আমি সাগরে অকূল।
হয়তো ফিরিবে তুমি কোন এককালে
মুছে দিবে সব দুখ আলতো করে ছুঁয়ে।
শেষ হবে প্রতীক্ষা বলতে পারো কবে
হৃদয় রাঙাবো মোর রংধনুর রঙে।
ও নীলপদ্ম,ও রাত জাগা তারা,
ভুলে যেও না যদি আর কভু না হয় দেখা
জরিমাখা সুতোয় বাঁধিও মোর স্মৃতির সিন্দুক,
সুতোর কোণে মুছে রেখো এক ফোটা অশ্রুবিন্দু।
কোন এক নিশিবেলায় খুঁজিয়া ফিরিতে ফিরিতে
পাইবে আমারে তুমি আপন অন্তর গভীরে।
*শেষ হবে প্রতীক্ষা বলতে পারো কবে-> এরপর (?) চিহ্ন দেওয়া যেতে পারতো। যেহেতু প্রশ্ন করা হয়েছে।
*এক ফোটা-> ‘একফোঁটা’ হবে হয়তো।
প্রিয় কবি, আপনার কবিতাটা পড়েছি মেঘলা আকাশ আর পূবের জানালা দিয়ে বইতে থাকা বাতাসের ছন্দের সাথে। প্রকৃতি আর আপনার কবিতাটা যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে। শীতল হয়ে গেছে মন-প্রাণ। তাই একরাশ মুগ্ধতা রেখে দিয়ে বলতে চাই প্রতিযোগিতার জন্য অনেক অনেক অনেক শুভকামনা রইল। 💚